বিজ্ঞানময় কোরআন ও এর সত্যতা নিরূপণঃ
বর্তমান বিজ্ঞান নিরীক্ষনের মাধ্যমে দেখিয়েছে পৃথিবীতে স্থলভাগের পরিমাণ, মোট আয়তনের ২৯ ভাগ আর জলভাগের পরিমান ৭১ ভাগ। আরো ভাল ভাবে বললে ২৮.৯ ভাগ স্থল আর ৭১.১ ভাগ জল। এই তথ্যটি পবিত্র কুরআনেই সর্বপ্রথম বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু পবিত্র কুরআনে এমন একটি আয়াত কি কেউ দেখাতে পারবেন যার অর্থ হচ্ছে পৃথিবীর জলসীমা ৭১.১% আর স্থলসীমা ২৮.৯%,তাহলে কিভাবে এই তথ্যটি কুরআন পেশ করল? আবার দেখুন কুরআনের গাণিতিক মিরাকল!!!
কোরআনে সমুদ্র বা জলাধার শব্দটি এসেছে ৩২ বার।
ভুমি বা জমি শব্দটি এসেছে ১৩ বার।
এদের রিপিটেশন এর পরিমানকে অনুপাতে প্রকাশ করলে পাওয়া যায়-
স্থলভাগের পরিমাণ = {১৩/
জলভাগের পরিমান = {৩২/
এই বিষয়টিকে কি করে কাঁকতলিয় বলে উড়িয়ে দেবেন? এরপরও যদি কেউ বলে যে এগুলো কাকতালীয় ঘটনা? তবে আমার আর কিছুই বলার নাই! শুধু তাদের উদ্দেশ্যে পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করছি ‘‘
﴿ وَمَا كَانَ لِنَفۡسٍ اَنۡ تُؤۡمِنَ اِلَّا بِاِذۡنِ اللّٰهِؕ وَيَجۡعَلُ الرِّجۡسَ عَلَى الَّذِيۡنَ لَا يَعۡقِلُوۡنَ﴾
কোন ব্যাক্তিই আল্লাহর অনুমতি ব্যাতিত ঈমান আনতে পারে না। আর আল্লাহর নিয়ম এই যে, যাহারা বিবেক বুদ্ধি প্রয়োগ করে না, তিনি তাদের উপর অপবিত্রতা চাপিয়ে দেন(সূরা ইউনুস-১০০)’’
ভাবতেও অবাক লাগে এত সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরও মানুষ কেন নাস্তিকতার দিকে ঝুকে পড়ে? সর্বশক্তিমান স্রষ্টা আল্লাহকে বাদ দিয়ে কেন মিথ্যা স্রষ্টার উপাসনা করে? সত্যের শাশ্বত পথ বাদ দিয়ে কেন মিথ্যার পথে পা বাড়ায়?
তবে এসব বিষয় নিয়ে মোটেই মাথা ঘামাবেন না। সব সময় মনে রাখবেন- মিথ্যা আছে বলেই তো সত্যের এত দাম! অন্ধকার আছে বলেই তো আলোর কদর এত বেশি! নাস্তিকতা ও মিথ্যা স্রষ্টায় বিশ্বাসী লোক আছে বলেই তো মহান স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনে বিশ্বাসী লোকদের জন্য রয়েছে আকাশ ও জমিনের মত বিস্তৃত জান্নাত। পরিশেষে পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি- ‘‘‘দৌড়ে এসো ছুতে এসো তীব্র গতিতে সেই পথে, যে পথে রয়েছে তোমার প্রভুর মাগফিরাত(ক্ষমা)
0 Comments