Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

6/recent/ticker-posts

অস্তিত্ব

#4AA9C8 লেখক:- Nayan Chowdhury

বিজ্ঞান ও স্রষ্টার অস্তিত্ব!! #0000FF 
---------------------------------------
নাস্তিকদের ভাষ্যমতে স্রষ্টা বলতে কিছু নেই আপনা থেকেই সৃষ্টি এই মহাবিশ্ব!! তারা বলেন  বিজ্ঞান স্রষ্টার অস্তিত্বকে প্রমাণ করতে পারেনা!!

আসলেইকি তাই?? তাহলে দেখাযাক আলোচনা করে---
কিভাবে সৃষ্টি মহাবিশ্ব?
বিগ ব্যাং এর মহা বিষ্ফোরনের মাধ্যমে!
যেকোন বিষ্ফোরনের ফলে সব কিছু বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ার কথা।  কিন্তু আমাদের এই মহাবিশ্বকি বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে??

যারা স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস করেনা এবং বিগ ব্যাং এবং মহাবিশ্বের সৃষ্টিকে কাঁকতলিয়, নিয়ন্ত্রনহিন, নিজে নিজে সৃষ্ট ইত্যাদি বলে তাদের কাছে প্রশ্ন রাখা যায় এই পৃথিবীর যেসব বিষয় জীবনধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় (নির্দিষ্ট আহ্নিক গতি, নিদিষ্ট দূরত্ব, নিখুত পরিমাপ ইত্যাদি ) তা কিভাবে পাওয়া সম্ভব যদি তাদের বক্তব্য অনুযায়ী বিগ ব্যাং একটি অনিয়ন্ত্রিত ঘটনা হয়ে থাকে? যদি মহাবিশ্ব কারো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয় কিভাবে এতটা নিখুত পরিমাপের উপর ছায়াপথ, সৌরজগৎ, পৃথিবী সৃষ্টি হল?
উত্তরে বলতে পারেন সময়ের বিবর্তনে এসব ধীরেধীরে এই অবস্থানে এসেছে!!
তাই?
কিন্তু নিউটনের ১ম সূত্রতো এটা সমর্থন করেনা!!
নিউটনেরপ্রথম সূত্র  থেকে আমরা দেখতে পাই, স্থির বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম স্থির থাকা এবং সচল অর্থাৎ গতিশীল বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম তার গতি তার গতি বজায় রাখা। স্থির বস্তুর নিজে থেকে চলতে পারেনা এবং গতিশীল বস্তু নিজে থেকে থামতে পারেনা। উভয়ক্ষেত্রেই বস্তু নিজে থেকে তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে অক্ষম। পদার্থের এই অক্ষমতাকে বলা হয় জাড্য বা জড়তা। এই কারণে নিউটনের প্রথম সূত্রকে জাড্য-এর সূত্র (Law of Inertia) বলা হয়। পদার্থের জাড্য ভরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত – যে পদার্থের ভর যত বেশী, তার জাড্য তত বেশী। জাড্যের সংজ্ঞাস্বরূপ বলা হয় – পদার্থের যে ধর্মের জন্য কোনো স্থির বস্তু বা গতিশীল বস্তু যে অবস্থায় আছে সেই সেই অবস্থায় বজায় রাখার চেষ্টা করে, সেই ধর্মকে জাড্য বলে। নিউটনের প্রথম সূত্র থেকে জানা যায় স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে কিংবা গতিশীল বস্তুর বেগ পরিবর্তন করতে বাইরে থেকে বস্তুটির উপর বল প্রয়োগ করতে হয়।

ইডুইন হাবলের হাবল টেলিস্কোপ আবিস্করের পর মানুষ বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখল গ্যালাক্সি, সেই থেকে প্রশ্ন- এগুলো কত দুরে অবস্থিত? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে, পেল আর এক নতুন তথ্য গ্যালাক্সি গুলো দুরে সরে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর অধিকতর দুরবর্তী গ্যালাক্সিগুলো আরো অধিক দ্রুত গতিতেদুরে সরে যাচ্ছে, এবং এক সময় হরিয়ে যাচ্ছে মহাবিশ্বের সীমাহীন শূন্যতার কোন এক মহাগহ্বরের অতল তলে। এ যেন এক বিস্ময়ের মাঝে আর এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। এটা তো সেই ১৯২৯ সালের কথা, এখনো ১০০ বছর হয়নি। কিন্তু আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে একমাত্র আল কুরআন-ই এ দাবিগুলো উপস্থাপন করেন সর্বপ্রথম। আর যারা বিজ্ঞান জানেন- তাদের কাছে এর থেকে মিরাকল (বিস্ময়) আর কি হতে পারে!
চলেন আমরা আল-কুরআনের পাতা উল্টে দেখি, শুধু মাত্র কয়েকটি শব্দে কত নিখুত ভাবে পেশ করেছে এই সম্প্রাসারণের কথা।
“আমি আকাশমন্ডলীকে সৃষ্টি করিয়াছি শক্তিবলে- নিশ্চয়ই আমি উহাকে সম্প্রাসারণ করেতেছি” (৫১:৪৭)।
“নক্ষত্র সমষ্টির (গ্যালাক্সি) শপথ, যাহারা পশ্চাত গমনে রত। এবং যা ভাসিয়া বেড়ায় ও অদৃশ্য হইয়া যায়” (৮১:১৫-১৬)।
মহাবিশ্বে মহাজাগতিক বস্তু সমুহের অবস্থান এবং এদের মধ্যে দূরত্ব পৃথিবীতে প্রানের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। কসমিক বল দ্বারা নক্ষত্রগুলোর মধ্যকার দূরত্ব এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে যা পৃথিবীকে মানুষের জীবনধারণের উপযোগী করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। মহাজাগতিক বস্তু সমূহের মধ্যকার দূরত্ব যদি কিছু কম হোতো তবে মহাকর্ষীয় আকর্ষণ, গ্রহগুলোর স্বাভাবিক অবস্থা, তাপমাত্রা ইত্যাদির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটত। যদি মহাজাগতিক বস্তুগুলোর মধ্যে দূরত্ব কিছুটা বেশী হোতো তবে বস্তুগুলো সুপারনোভা অবস্থায় ছরিয়ে ছিটিয়ে যেত। ফলে গ্রহাণুগুলো একত্রীত হতে পারত না এবং আমাদের পৃথিবীর মতো গ্রহ তৈরি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ঘনত্বে পৌছাতে পারত না। মহাকাশ বিজ্ঞানী জর্জ গ্রিনস্টেইন এই অভাবনিয় ব্যবস্থার ব্যাপারে বলেন

“ যদি তারকাগুলোর মধ্যবর্তী দূরত্ব কিছুটা কম হোতো তবে astrophysics খুব একটা পরিবর্তন হোতো না। পদার্থ বিদ্যার মৌলিক নিয়ম, যেসব নক্ষত্র, নেবুলা ইত্যাদির মধ্যে ক্রিয়াশীল সেসবও খুব একটা পরিবর্তিত হতো না। শুধু মাত্র ছোট খাট কিছু পরিবর্তন হোতো। যেমন, রাতে ঘাসের মেঝেতে শুয়ে রাতের যে আকাশটা দেখি তা কিছুটা উজ্জ্বল দেখাত। আর আরেকটি ছোট্ট পরিবর্তন হতো। তা হচ্ছে, রাতের এই উজ্জ্বল আকাশ দেখার জন্য আমি বা আপনি কেউই থাকতাম না।

অন্যকথায়, নক্ষত্ররাজি এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে,এতটা নিখুত ভাবে করা হয়েছে যতটা এই পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজন। এই অপরিসিম মহাবিশ্ব কোনো কাঁকতলিয় ঘটনার মাধ্যমে সৃষ্ট নয়। এটি একটি পরিকল্পিত এবং তৈরিকৃত ব্যবস্থা!

প্রমাণ কি?

উত্তর জানার জন্য একটু বিস্তারিত আলোচনা দরকার!
অভিকর্ষজ নিয়ম অনুযায়ী চন্দ্র ও সূর্য উভয়ই পৃথিবীর উপর বলীয় প্রভাব বিস্তার করে। আমরা জানি, অভিকর্ষ বল দুটি বস্তুর দূরত্বের বর্গের বিপরীতে হ্রাস পায়! পৃথিবী হতে সূর্যের দূরত্ব চন্দ্রের দূরত্বের ৪০০গুণ!  এই দূরত্বের কারনে সুবিশাল ভরসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও সূর্যের চাইতে চাদের অভিকর্ষ প্রতাপ পৃথিবীর উপর বেশি পড়ে। উভয় গোলকের অভিকর্ষ প্রভাবের প্রত্যক্ষ ফলাফলে সমুদ্রে জোয়ার -ভাটার সৃষ্টি হয়! বিজ্ঞানীদের হিসাব অনুযায়ী সূর্যের এই প্রভাবটি চাঁদের আকর্ষী বলের ৪৫ ভাগ।পৃথিবী চন্দ্রের কম দূরত্বের কারনে চাদ-পৃথিবী অভিকর্ষ শক্তি সূর্য-পৃথিবী অভিকর্ষ শক্তির চাইতে কম!

চাঁদ বা সূর্য যখন পৃথিবীকে আকর্ষন করে, এই আকর্ষী বলটি পৃথিবীকে সমস্ত বস্তু সমেত টেনে নিতে চায়! প্রকৃতির নিয়মের কারনে এটি সম্ভব হয়না। কঠিন বস্তুনিচয়ের উপরো এই বল কার্যকর হয়না---- বলটির প্রভাব যখন জলবিস্তারের উপর পড়ে,  তখন চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ জনিত টানের কারনে জলভাগ স্ফীত ও বলের দিকে নীত হতে চায়। বলটি এতটা শক্তিশালী নয় যে  ভূভাগের সমস্ত জলকে নিজের দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে, কিন্তু এর ততটা শক্তি রয়েছে যে বিপুল জলরাশীকে টেনে ধরে রাখতে সক্ষম। এই টানের দিকে জলের স্ফীত সৃষ্ট হয়। পৃথিবী গোলাকার এবং কঠিন ও অনড়, তাই এটানের প্রভাব ভূ-ভাগের সমস্ত জলরাশিতে পড়ে। ফলে জল বিস্তার স্থানচ্যুত হয়ে আসে বা আসতে চায়। ক্রমে ক্রমে জলীয় বলয়ে গতির সৃষ্টি হয় এবং জোয়ার আসে।
চাদের মত সূর্য ও পৃথিবীর জলরাশির উপর পৃথক একটি প্রভাব সৃষ্টি করে। যখন সূর্যের এই আকর্ষন চন্দ্রের আকর্ষণ রেখার উপর পতিত হয় বা সসমান্তরাল হয় তখন এই জোয়ারের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। পৃথিবী, চন্দ্র ও সূর্য যখন মোটামোটি একই সরল রেখায় উপনীত হয়, তখন পৃথিবী জলীয়মন্ডলে যে প্রভাব পড়ে তাকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছে  Spring tide.
পূর্ণিমা বা অমাবস্যায় এই জোয়ার সৃষ্টি হয়।
প্রতিদিন আমরা যে জোয়ারের সাথে পরিচিত, অমাবস্যা বা পূর্ণিমায় সে জোয়ার অপেক্ষাকৃত অধিকতর প্রভাবশালী।

চাঁদ যদি গ্রহণী সমতলে অর্থাৎ সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে সূর্য- চাঁদ - পৃথিবী এই বিন্যাসে একটি সরল রেখায় উপনীত হয়, তখন চাঁদের পূর্ণ ছায়া পৃথিবীর উপর পতিত হয়। চাঁদ টি সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে এমনভাবে থাকে যে, সূর্য আড়াল হয়ে যায়। তখন যে গ্রহন হয় তা হল সূর্য গ্রহন।
চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের শূন্য লাইনে চলে আসে তখন তিন বস্তুর শক্তি ভেক্টরটি সূর্যের দিকে গতিমুখ করে থাকে। এই শক্তি ভেক্টরটি সাধারণত বেশি শক্তিশালী হয়। তখন কিন্তু সূর্য গ্রহন।আর এটি হতেপারে মহা সংকটকাল। ৩বস্তুর একত্রিত অভিকর্ষ শক্তি দূরে কোনো ধংসের আগন্তুককে ডেকে আনবার রাস্তাটি দেখিয়ে দেয়।
এই অবস্থাটি একটি অতিশয় নাজুক পরিস্থিতিরই নামান্তর, যা পরিণামে সর্বৈব ধংসের কারন হতে পারে।
সূর্যকে কেন্দ্র বিবেচনা করলে যে চিত্র আমরা প্রত্যক্ষ করতে পারি তা হলো----
এসটিরয়েড ও মিটিওর বেল্ট, শনির পাথুরে বেল্ট, ওল্ট ক্লাউড এইসব অঞ্চলের অভিশপ্ত  আগন্তুকগনের জন্য(যারা পৃথিবীর কক্ষপথ ছেদ করে) পৃথিবী হল সর্ব প্রথম লক্ষ বস্তু! কোন কারনে কোনো সময়ে সূর্য-চন্দ্র পৃথিবী লাইনে তৈরী হবার পর গতিটানের অনুকূল দিকে সন্তরণমান কোনো মহাকাশীয় বস্তু যদি ক্ষুদ্র কৌণিক দূরত্ব নিয়ে আপতিত হয়,তবে এ সর্বনাশের মখে পৃথিবী হল প্রথম পরিণামবাহী!
অতীতে পৃথিবীর সঞ্চালন তলকে যেসব গ্রহাণুরা ছেদ করে গেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে ---- ইরোস ১৯৩১ সালে, ব্যাস ৩০ কিঃমিঃ।অ্যালবার্ট ১৯১১ সালে,ব্যাস ৫কিঃমিঃ।অ্যামোর ব্যাস ৮কিঃমিঃ। এছড়াও, এপোলো, অ্যাদোনিস ইত্যাদির আগমন ঘটেছিল ছিল । অনুরোপ ভাবে বিভিন্ন ধুমকেতুর আনাগোনা হয়েছে অতীতে।
এমনি একটি এসটিরয়েডের আঘাতে ৬কোটি ৫০লক্ষ বছর আগে যে বিপর্যয়ের সৃষ্ট হয়েছিল তার ফলে বিলুপ্ত হয়েছিল "ডাইনোসোরাস প্রজাতী"!!
যে তথ্যটি দেয়ার জন্য এই বিস্তারিত আলোচনা তা হচ্ছে --

চাঁদ ও পৃথিবীর বিন্যাস কৌশলটি এমন যে যেখানে প্রতিটি অমাবস্যায় ও প্রতিটি পূর্ণিমায় একটি করে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হবার কথা ছিল, সেখানে চাঁদ গ্রহনী সমতল হতে ৫.৮ ডিগ্রি হেলে থাকার কারনে প্রতিমাসে দুটি গ্রহনের মহাঘটনা পৃথিবীর পক্ষে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।
বস্তুতঃ এই ৫.৮ডিগ্রি সৃষ্টিতে এঁটে দেয়া একটি নিরাপত্তা ব্যাবস্থা যার কাছে পৃথিবীর জীবমণ্ডল সরাসরি ঋনের দায়ে আবদ্ধ!
সুবাহানাল্লাহ!! কে সেট করেদিল এত নিখুঁত ভাবে?
বিগ ব্যাং এর মহাবিষ্ফোরনের পরেতো সব কিছু বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ার কথা!! তাহলে কিভাবে তা এত নিখুঁত ভাবে নিজ নিজ অবস্থানে সেট হয়ে গেল কোন নিয়ন্ত্রক ছাড়া?

Bode's Law সম্পর্কে অনেকেরি জানা আছে!  প্রকৃতিতে একটি সুনিদৃষ্ট ধারাবাহিকতা সর্বত্র বিরাজমান দেখে বিজ্ঞানীরা গ্রহদের বিন্যাস -দূরত্বের বিষয়ে ধারাবাহিকতার নিয়ম খাটে কিনা সে অনুসন্ধান কার্যে শেষ পর্যন্ত কৃতকার্য হন!
সূর্য -- পৃথিবীর দূরত্বকে যদি ১০ইউনিটে প্রকাশ করা যায় -- তবে এই প্রগমন চিত্রে সৌরজগতের গ্রহদের দূরত্ব বিন্যাস দাঁড়ায় নিম্ন রুপ--
প্রগমন চিত্র   ৪ --    ৭ --     ১০ --     ১৬ --  ২৮ --  ৫২ -----    ১০০ --   ১৯৬
গ্রহের দূরত্ব  বুধ--  শুক্র-- পৃথিবী-- মঙ্গল----------  বৃহষ্পতি-----শনি----ইউরেনাস
প্রকৃত দূরত্ব ৩.৯ ---৭.২ --- ১০  ----- ১৫.২------------- ৫২ -------  ৯৫.৪ -------১৯১.৮

সূত্রটি একটি চমৎকার সঠিকতায় খেটে যাচ্ছে। তবে বিপত্তি হয়ে থাকল মঙ্গল ও বৃহষ্পতির মাঝের শূন্যতা! ২৮ সংখ্যার সাথে সামঞ্জস্যপপূর্ণ এমন কোনো গ্রহের প্রয়োজন বিজ্ঞানপাড়ায় তল্লাশির খোরাক যোগাতে থাকল। ১৮০১ সালে আবিষ্ককৃত হয় ২৭.৭ দূরত্বে গ্রহের মত দেখতে একটি বস্তু যা পরে গ্রহানু বলে চিহ্নিত হয়, ১৯৭১ সাল নাগাদ এর আবিষ্কৃত সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭৫০ এ। বিজ্ঞানীরা এর উৎসের সন্ধান করতে গিয়ে খুজ পেলেন-- মঙ্গল ও বৃহষ্পতির মাঝে এমন লক্ষাধিক গ্রহানু থাকতে পারে, এদের একত্রিভূত পদার্থ মূলতঃ কোনো কালে আমাদের চাদের মত কোন একটি গ্রহ বৃহষ্পতি আর মঙ্গলের টানাপড়েনে টুকরা টুকরা হয়ে যায়! এদের আকৃতি কয়েকশত ফিট হতে হাজার কিলোমিটার, এরা সূর্যকে কেন্দ্র করে পথ চলে।
অর্থাৎ Bode's Law নিখুঁত ভাবে চমৎকার সঠিকতায় মিলে যায়।
নিয়ন্ত্রক ছাড়া কিভাবে হল এসব এতটা নিখুঁত ও সুশৃঙ্খল?

নিউটনের ১ম সুত্র অনুযায়ী যদি বলি তাহলে বলতে হয় অবশ্যই এসবের একজন নিয়ন্ত্রক রয়েছে তিনিই স্রষ্টা, তিনিই সকল কিছুর নিয়ন্ত্রক!!

প্রকৃত পক্ষে আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়নের সবচেয়ে উপযোগী পন্থা। এতে মানুষের মনে বিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। স্রষ্টার মহত্ব, জ্ঞান-গরিমা ও হিকমত জানা যায়। আল্লাহ তায়া’লা আসমান জমিন যথার্থভাবে সৃষ্টি করেছেন, এগুলোকে অনর্থক সৃষ্টি করেননি। তিনি কোন কিছু নিরর্থক কিছু সৃষ্টি করেন না। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ
خَلَقَ اللّٰهُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ بِالۡحَقِّ‌ؕ اِنَّ فِىۡ ذٰلِكَ لَاَيَةً لِّلۡمُؤۡمِنِيۡنَ‏
(আল্লাহ যথার্থরূপে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। এতে নিদর্শন রয়েছে ঈমানদার সম্প্রদায়ের জন্যে)। (আনকাবুতঃ ৪৪)
♥♥♥♥♥♥♥π♥π♥♥♥♥♥♥সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য এই post টি যথেষ্ট!!!

বিশ্বজগতে যত প্রকারের আলো রয়েছে, তার খুব কমই আমরা দেখতে পাই!
,এক্স রে,  গামা রশ্মি তার সবচেয়ে উত্তম উদাহরণ!

গামা রশ্মি বা গামা বিকিরণ (প্রতীক γ) একপ্রকার উচ্চ কম্পাঙ্কের খুব ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণ। ইহা বিভিন্ন সাব-এটমিক কণার মিথষ্ক্রিয়া, যেমন ইলেক্ট্রন-পজিট্রন অবলুপ্ত প্রক্রিয়া, পাইয়ন আবক্ষয়,তেজস্ক্রিয় আবক্ষয়, ফিউসান, ফিসান, বিপরীত কম্পটন বিচ্ছুরণ ইত্যাদির মাধ্যমে তৈরি হয়। গামা রশ্মির কম্পাংক সাধারণতঃ ১০ টুদি পাওয়ার ১৯ হার্জ এর উপরে, তাই এর শক্তি ১০০ কিলো ইলেকট্রন-ভোল্ট উপরে এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১০ পিকোমিটার চেয়ে ছোট, যা প্রায়শঃ অণুর আয়তনের তুলনায় অনেক ছোট। ফরাসি রসায়নবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী পল ভিলার্ড ১৯০০ সালে রেডিয়াম বিকিরণ নিয়ে পরীক্ষা করার সময় গামা রশ্মি আবিষ্কার করেন। ইতিপূর্বে আর্নেস্ট রাদারফোর্ড আলফা রশ্মি এবং বিটা রশ্মি নামের দুই প্রকার বিকিরণ ১৮৯৯ এবং ১৯০৩ সালে আবিষ্কার কারেন। রাদারফোর্ড ভিলার্ডের এই নতুন আবিষ্কৃত বিকিরণের নাম দেন গামা রশ্মি। ১৮৯৫ সালে এক্স রে আবিষ্কৃত হয় ৷

১৮৯৫ সালের পূর্বে কানার ভাই আন্ধা ও জানত যে আলোর কারনেই সব দেখা যায় ৷
এমন আলো আছে যা দেখা যায় না , তা কখনও মানুষ চিন্তাও করত না ৷

তারচেয়েও বড় বিস্ময় হল আলোর গতি৷  বিজ্ঞান বলছে, আলো প্রতি সেকেন্ড ৩০০,০০০ কিলোমিটার এবং  ঘণ্টায়  ১,০৭৯,০০০,০০০ কিলোমিটার যেতে পারে ৷

বিস্ময়কর ব্যাপার হল, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 1400 বছর পূর্বে  বলেছেনঃ ফেরেশতাদেরকে নূর বা আলো দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে আর জিন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে নির্ধুম অগ্নিশিখা হতে ৷  (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২২৫, ইসলামিক সেন্টার ৭২৭৭)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=54483

শুধু তাই নয় ফেরেশতাদের চলার গতির ব্যাপারে কোরআনে বলা হয়েছে

[4] تَعرُجُ المَلٰئِكَةُ وَالرّوحُ إِلَيهِ فى يَومٍ كانَ مِقدارُهُ خَمسينَ أَلفَ سَنَةٍ
[4] ফেরেশতাগণ এবং রূহ আল্লাহ তা’আলার দিকে উর্ধ্বগামী হয় এমন একদিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।
(সূরা আল মায়ারিজ)

দেখুন, সুস্পষ্টভাবে আল্লাহ বলছেন যে আলোর তৈরি ফেরেশতা একদিনে যে দুরত্ব অতিক্রম করে তা অতিক্রম করতে  আমাদের পঞ্চাশ হাজার  বছর লাগবে ৷

নাস্তিকদের প্রতি প্রশ্ন হল,
(1) এত কিছু থাকতে রাসূল সাঃ কেন বললেন ফেরেশতা আলোর তৈরি? 1400 বছর পূর্বে আলো দেখা যায় না বলার মত সাহস এবং জ্ঞান তিনি কোথায় পেলেন? 
(2 ) 1400 বছর পূর্বে রাসূল সাঃ কিভাবে জানলেন যে এমন আলো রয়েছে যা স্বাভাবিক ভাবে মানুষের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়?
(3) কোরআনে আলোর তৈরি ফেরেশতাদের প্রচন্ড এবং অকল্পনীয়  গতি সম্পন্ন বলা হয়েছে ৷ এখন বিজ্ঞান বলছে সবচেয়ে গতি সম্পন্ন হল আলো!
কিভাবে দুটি ব্যাপার মিলে গেল?
(4) না দেখা যাওয়ার মত আলো রয়েছে এবং আলোর অকল্পনীয় গতিতে চলার কথা রাসূল সাঃ কার কাছ থেকে জানলেন???

মূল কথায় আসি,   1400 বছর পূর্বে রাসূল সাঃ যখন জানিয়ে দিলেন যে ফেরেশতা আলোর তৈরি তখন সাহাবিরা ফেরেশতা দেখতে পায়নি ৷
উনারা কিন্তু বলেনি, " আলোর তৈরি হলে আমরা কেন দেখিনা? " বরং তারা বিশ্বাস করেছে ৷ এবং 1895 সালে প্রথম প্রমাণিত হয়েছে যে খালি চোখে দেখা না যাবার মত অনেক আলো রয়েছে! যদি উনারা তখনকার  বিজ্ঞানের সাথে মিলিয়ে ঈমান আনতে চাইত, তবে কি সত্যকে মেনে নিত? ঠিক তেমনি ভাবে আজ বিজ্ঞান অনেক কিছু উল্টাপাল্টা বলছে কিন্তু ভবিষ্যতে অবশ্যই ইনশাআল্লাহ কোরআনের সাথে কন্ঠ মেলাবে এবং স্বীকার করবে যে সৃষ্টিকর্তা রয়েছেন ৷ তখন নাস্তিকদের আফসোস ছাড়া করার কিছুই থাকবেনা!

Post a Comment

0 Comments