Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

6/recent/ticker-posts

Counter postঃ

নাস্তিকের প্রশ্ন ও জবাবঃ

প্রশ্নঃ
মায়ের গর্ভে কি সন্তান আছে এটা নাকি শুধু আল্লাহ জানেন?সুরা ৩১:৩৪ ও বুখারী শরীফের ৪৭৭৭ নম্বর হাদিসে এটা বলা হয়েছে! এখন তো আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে বাচ্চা ছেলে না মেয়ে জানা যায়!!
সুতরাং কোরআন ও হাদিসে  ভুল আছে! অর্থাৎ  কোরআন এই জামানায় অচল!
.
উত্তরঃ-

- সুরা লোকমান এর শেষ আয়াত?
- আচ্ছা দেখাযাক  কি বলছে সেখানে-

. ﴿ اِنَّ اللّٰهَ عِنۡدَهٗ عِلۡمُ السَّاعَةِ‌ۚ وَيُنَزِّلُ الۡغَيۡثَ‌ۚ وَيَعۡلَمُ مَا فِىۡ الۡاَرۡحَامِ‌ؕ وَمَا تَدۡرِىۡ نَفۡسٌ مَّاذَا تَكۡسِبُ غَدًا‌ؕ وَّمَا تَدۡرِىۡ نَفۡسٌۢ بِاَىِّ اَرۡضٍ تَمُوۡتُ‌ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِيۡمٌ خَبِيۡرٌۢ﴾
""নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। এবং তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন। আর তিনি তা জানেন গর্ভাশয়ে যা থাকে। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন যায়গায় সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।" (31:34)
.
এটাতো তাইনা?

এখন এই আয়াতে কি বলা হয়েছে , "মায়ের গর্ভে কি সন্তান আছে এটা শুধু আল্লাহই জানেন"?
আয়াতের দিকে খেয়াল করে দেখোন, এখানে বলছে "..আর তিনি তা জানেন গর্ভাশয়ে যা থাকে.."
এখানে কোথায় পাইলো যে তিনি ছাড়া আর কেউ জানেনা?
.
বৃষ্টির ক্ষেত্রেও কাহিনী একই!
এই আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলছেন- "...এবং তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন.." এখানে এরকম কিছু নাই যে, কখন বৃষ্টি হবে বা কোথায় হবে এটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা। অতএব, এখন আবহাওয়ার খবর দেখে কেউ যদি আপত্তি করে তাহলে সেটাও গ্রহণযোগ্য হবে না।
.
কোরআন যেটা বলেইনি, সেটার দায় আমরা কেন নিবো? কেউ যদি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এরকম কিছু বলে তাহলে সেটা তার ব্যাখ্যা, কোরআন এর আয়াত তো না!
.
এই আয়াতে ২টা বিষয়ের কথা বলা হয়েছে যা আল্লাহ্‌ ছাড়া কেউ জানেনা।
১। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে
২। কেউ জানে না কোঁথায় সে মৃত্যুবরণ করবে
.
এখানে বলা হচ্ছে- "গর্ভে কি আছে সেটা আল্লাহ জানেন" এতে কি বোঝায় আর কেউ জানেনা?

আচ্ছা এবার আসা যাক হাদিসের আলোচনায়!
বুখারী শরীফের ৪৭৭৭ নম্বর হাদিসে বলা হয়েছে ৩টি জ্ঞান আল্লাহর যা অন্যকেউ জানেনা!
৩নম্বরটি হচ্ছে " মাতৃ গর্ভে কি আছে"!
আর এই ৩ নম্বর বিষয়টির কোন বিষয় জানেনা তাও ৬৫৯৫ নম্বর হাদিসে পরিপূর্ণ  রূপে ক্লিয়ার করে দেয়া হয়েছে! দেখুন হাদিস খানাতে কি বলাহয়েছে--

৬৫৯৫. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ রেহেমে (মাতৃগর্ভে) একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, হে প্রতিপালক! এটি বীর্য। হে প্রতিপালক! এটি রক্তপিন্ড। হে প্রতিপালক! এটি গোশতপিন্ড। আল্লাহ্ যখন তার সৃষ্টি পূর্ণ করতে চান, তখন ফেরেশতা বলে, হে প্রতিপালক! এটি নর হবে, না নারী? এটি দুর্ভাগা হবে, না ভাগ্যবান? তার রিযক্ কী পরিমাণ হবে? তার জীবনকাল কী হবে? তখন (আল্লাহর নির্দেশমত) তার মায়ের পেটে থাকাকালে ঐ রকমই লিখে দেয়া হয়। [৩১৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪৩)

আচ্ছা এখন আপনারা বলুন কোন শিশুর রিজিক কতটুকু হবে, কতদিন বাঁচবে, সৌভাগ্যবান না দূর্ভাগা হবে এইসব কি কোন মানুষের পক্ষে জানা আদৌ সম্ভব?

আসলে নাস্তিকদের কাজ হচ্ছে বিভ্রান্তি ছড়ানো! তারা এটা করেই যাবে! কিন্তু আমরা কেন যাচাই না করেই তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যাব?

মাওলা এইসব ইসলাম বিরোধীদের চক্রান্ত থেকে সতর্ক করার জন্যই বলেছেন---

﴿ اِنَّ الَّذِيۡنَ يُلۡحِدُوۡنَ فِىۡۤ اٰيٰتِنَا لَا يَخۡفَوۡنَ عَلَيۡنَاؕ اَفَمَنۡ يُّلۡقٰى فِىۡ النَّارِ خَيۡرٌ اَمۡ مَّنۡ يَّاۡتِىۡۤ اٰمِنًا يَّوۡمَ الۡقِيٰمَةِ‌ؕ اعۡمَلُوۡا مَا شِئۡتُمۡ‌ۙ اِنَّهٗ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ بَصِيۡرٌ‏﴾

যারা আমার আয়াতসমূহের উল্টা অর্থ করে তারা আমার অগোচরে নয়। নিজেই চিন্তা করে দেখো যে ব্যক্তিকে আগুনে নিক্ষেপ করা হবে সেই ব্যক্তিই ভাল, না যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন নিরাপদ অবস্থায় হাজির হবে সে-ই ভালো? তোমরা যা চাও করতে থাকো, আল্লাহ‌ তোমাদের সব কাজ দেখছেন!(হা মিম সেজদাঃ৪০)

Post a Comment

0 Comments