Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

6/recent/ticker-posts

মুহাম্মদ(সাঃ) এর পিতা কে?

Counter postঃ
মিথ্যাচারঃ
মুহাম্মদ(সাঃ) এর জন্মের তিন বছর আগে তাঁর পিতার মৃত্যু হয়।তার পিতা আব্দুল মুত্তালিব।এজন্যই আমেনা তাকে দুধ না খাইয়ে হালিমার হাতে তুলে দিয়েছিল।

জবাবঃ
*******
কতটা নির্লজ্জ হলে মানুষ এতটা ভয়াবহ মিথ্যাচার করতে পারে আমার জানানাই। তবে সুস্থ মস্তিষ্কের কোন মানুষ এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচার করতে পারেনা সেটা আমি নিশ্চিত।
নাস্তিক গ্রুপে একটি পোষ্টে চোখ আটকে গেল।সেখানে উল্লেখ করা হল রাসুল(সাঃ) আব্দুল মুত্তালিবের জারজ সন্তান(নাউজুবিল্লা)  আর এজন্য মা আমিনা হজুর(সাঃ) কে দুধ পান না করিয়ে বেদুইন মহিলার হাতে তুলে দেন।
তাদের দাবি রাসুল( সা) জন্মের ৩বছর আগে আব্দুল্লাহ মারা যান(নাউজুবিল্লা)

বন্ধুগন,
রাসুল(সাঃ) এর পিতার নাম আব্দুল্লাহ।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বিশ্বস্ত তথ্যসূত্র উইকি পিডিয়ার মতে--
  আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব (ইংরেজি: Abdullah ibn Abdul-Muttalib; আরবি: عبدالله بن عبد المطلب‎; ৫৪৫ – ৫৭০) ছিলেন ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মুহাম্মদ-এর পিতা। মুহাম্মদ(সাঃ) তার এবং তার স্ত্রী আমিনার একমাত্র সন্তান। পুত্রের জন্মের পূর্বেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

খেয়াল করুন, আব্দুল্লাহর মৃত্যু হয় ৫৭০খ্রিস্টাব্দে আর রাসুল(সাঃ) জন্মও হয় ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে।
তাহলে পিতার মৃত্যুর ৩বছর পরে রাসুল(সাঃ) এর জন্ম এই কথাটা কি ভয়াবহ নির্লজ্জ মিথ্যাচার বলে প্রমাণিত হয়না?
তাছাড়া তৎকালিন সময়ে তাকে সবাই আব্দুল্লাহর পুত্র হিসেবে চিনত।বিভিন্ন চুক্তি ও চিঠিতে তাকে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।(স্ক্রিনশট দিলাম)!
এরপরেও যারা এসব বলে মূলত তারাই জারজ,অন্য কেউ নয়।

তৎকালীন আরবীয় প্রথা অনুযায়ী রাসুল(সাঃ)কে শৈশবে  হালিমা(রাঃ) এর কাছে দেয়া হয় লালন পালনের জন্য  এটা সবাই জানে।(তথ্যসূত্র- উইকি)
৬বছরের কিছু কম বয়সে মা আমিনা হুজুরপাক(সাঃ) কে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন প্রথা অনুযায়ী।
অথচ এখানে উল্লেখ করা হয়েছে ৮বছর বয়সে চাচা আবু তালিব ফিরিয়ে আনেন উট চড়ানোর জন্য যা একটি মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুইনা!
এই পোষ্টে উল্লেখ করা হয় কোরআনের আয়াত গুলো রাসুল(সাঃ) এর চাচাত ভাই জাফর(রাঃ) এর লিখা তিনি নিজে পেছনে থেকে রাসুল(সাঃ) কে দিয়ে প্রচার করেছেন।
আচ্ছা, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোন লেখক আছে যিনি নিজের অসামান্য লিখনি অন্যকে দিয়ে দিয়েছেন?
সবাই বুঝে শুধু নাস্তিকরা বুঝেনা।
মিথ্যাচার এখানেই শেষনয়, বলাহয় জাফর(রাঃ) মদীনার গভর্নর নাজ্জাশিকে(নামটি লিখতেও ভুল করেছে নাজায়াসি লিখেছে) গল্প শুনিয়ে মন গলিয়ে ফেলে এবং মুহাম্মদ(সাঃ) কে নিয়ে মদীনায় বসতি গড়ে।
অথচ নাজ্জাশি ছিল আবিসিনিয়ার শাসনকর্তা।

এবার আপনারাই বলুন যেসব নাস্তিক এসব লিখে তারা কি আসলে জেনে বুঝেই লিখে নাকি বিভিন্ন ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগের লেখা গুলো দেখেই এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে?

আমি স্ক্রিনশট দিলাম আপনারা প্রকৃত ইতিহাস দেখেনিন আর তাদের মিথ্যাচারের প্রমাণও দেখেনিন।
উল্লেখ্য যে ঈমানদাররা নাস্তিক গ্রুপকে বর্জন করার কারনে তাদের গ্রুপে কোন পোষ্ট হয়না। তাই এডমিনরা নিজেরাই বিভিন্ন নামে আইডি খুলে এইসব অপপ্রচার মূলক পোষ্ট করেযাচ্ছে!

♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥Share করে রাসূলের (সাঃ) জন্ম নিয়ে ভয়ংকর অপপ্রচারের ব্যাপারে সকলকে সচেতন করুন!

বিতর্ক করছিলাম! হঠাত এক নাস্তিক বলল

"////মোহাম্মদের আসল বাবার নাম আব্দুল্লাহ ছিল কিনা জানি না ...   কারণ মোহাম্মদের জন্মের চার বছর আগে মোহাম্মদের মায়ের শ্বামী আব্দুল্লাহ মারা যায়////"

চরম ভাবে চমকে উঠলাম! বললাম প্রমাণ পেশ করুন ৷ সে নিচের video টি দিল ৷
আমি বিস্মিত হলাম, হতবাক হয়ে গেলাম! মিথ্যাচারের সীমা কত নিকৃষ্টতম পদ্ধতিতে ছাড়িয়ে যাওয়া যায় বক্তা তা প্রমাণ করেছে ৷

রাসূলের (সাঃ)চাচা, হামজা (রাঃ) এর সম্ভাব্য জন্ম এবং মৃত্যু তারিখ দেখিয়ে সে প্রমাণ করতে চেয়েছে যে রাসূলের (সাঃ)জন্মের চার বছর পূর্বেই উনার বাবা মারা যান ৷ ( নাউযুবিল্লাহ) (হামজা রাঃ এর মৃত্যুর বহু বছর পর কিছু লোক ধারনা করল যে উনি রাসূলের ( সাঃ) চেয়ে কয়েক বছরের বড় ছিলেন,যদিও তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন প্রমাণও ছিলনা ৷ আর তা শুনেই নাস্তিক মশায়ের লাফালাফি! )
কিন্তু একটি বারও রাসূলের (সাঃ) বাবার মৃত্যু তারিখ এবং রাসূলের (সাঃ) জন্ম তারিখ  উল্লেখ করে নাই ৷ প্রকৃতপক্ষে তারা ভাল ভাবেই জানে যে উনাদের জন্ম এবং মৃত্যু তারিখ উল্লেখ করলেই মিথ্যাতথ্যের প্রমাণ হয়ে যাবে ৷

শুধু তাই নয় এই আয়াতের অদ্ভুত ব্যাখ্যা করল ৷

  اللّهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلُّ أُنثَى وَمَا تَغِيضُ الأَرْحَامُ وَمَا تَزْدَادُ وَكُلُّ شَيْءٍ عِندَهُ بِمِقْدَارٍ   (8
আল্লাহ জানেন প্রত্যেক নারী যা গর্ভধারণ করে এবং গর্ভাশয়ে যা সঙ্কুচিত ও বর্ধিত হয়। এবং তাঁর কাছে প্রত্যেক বস্তুরই একটা পরিমাণ রয়েছে।

এই আয়াতে নাকি লেখা আছে একজন নারীর গর্ভধারণের সময় কাল সর্বোচ্চ 5 বছর!!এবং এই আয়াতের মাধ্যমে নাকি রাসূলের সাঃ পিতার মৃত্যুর 4 বছর পর রাসূলের সাঃ জন্মকে বৈধতা দেয়া হয়েছে!!! কত বড় মূর্খ হলে এমন ব্যাখ্যা করতে পারে??? এখানে 5 বছর লেখা আছে??

মূলত সারা পৃথিবীর প্রতিটি লোক জানে যে রাসূলের সাঃ বাবার মৃত্যু হয় 570 খ্রিষ্টাব্দে এবং রাসূলের সাঃ জন্মও হয় 570 খ্রিষ্টাব্দে ৷
তাহলে নাস্তিকরা 4 বছর পেল কোথায়? কতটা নোংড়া মানসিকতার হলে এ ধরনের অপপ্রচার করতে পারে তারা???
(রাসূলের (সাঃ)  বাবার জন্ম  এবং মৃত্যু তারিখ)
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Abdullah_ibn_Abdul-Muttalib
(রাসূলের সাঃ জন্ম তারিখ)
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Muhammad

বন্ধুগণ,
ইন্টারনেটের প্রসার ঘটায় জনসাধারণের নাগালের বাইরে এক শ্রেণীর নাস্তিক চক্র গড়ে উঠেছে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে উদ্বেগজনক ও কুৎসিত অপপ্রচার শুরু করেছে, তা পূর্ববর্তী নাস্তিকদের সকল অপতৎরতাকে বহুগুণে ছাড়িয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ কোন প্রতিরোধ গড়ে উঠেনি। এর কারণ হল এদের অবস্থান সমাজে নয় বরং ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগতে। প্রকৃতপক্ষে ইন্টারনেটে এ যারা নিয়মিত চোখ রাখে না, তারা কল্পনাও করতে পারবেন না যে, কতটা জঘন্য অপপ্রচারে লিপ্ত এই নাস্তিকের দল! এই নাস্তিক চক্রের ভয়াবহ অপতৎপরতা সকলের সামনে  প্রকাশ না করলে তারা হয়ত আরো একদিন সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে ধর্মের বারটা বাজিয়ে ছাড়বে!
আজ  নাস্তিকতার যে ভয়াল চিত্র উন্মোচিত হচ্ছে , তা সমগ্র বিশ্ববাসীকে  স্তম্ভিত করতে বাধ্য! নাস্তিকতা যে কত নিকৃষ্ট হতে পারে, ধর্মহীনতা যে মানুষকে পশুত্বের ও নৈতিক অবক্ষয়ের কোন অতলে নিক্ষেপ করতে পারে, তথাকথিত ‘মুক্তবুদ্ধি’র চর্চার আড়ালে ইসলাম-বিদ্বেষের যে কি জঘন্যতম কুৎসিত অবয়ব লুকিয়ে আছে, তার এক বাস্তব প্রতিমূর্তি অত্যন্ত প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে এই video তে ৷
এই ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক চক্রটি দিনে দিনে শক্তিশালী হয়ে দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ শিক্ষার্থীদের মগজ ধোলাইয়ের জন্য সুদূরপ্রসারী মিশন গ্রহণ করে। এ মিশন যে বেশ নির্লজ্জতার সাথেই এগিয়ে চলেছে  ,এই ঘৃণ্যতম দুঃসাহসিক অপতৎপরতা, তারই প্রমাণ বহন করে। এদের মিথ্যাচারের  ছোবলের শিকার হয়ে শহুরে শিক্ষিত তরুণ সমাজের অনেকেই  নিজের দ্বীন-ধর্ম সম্পর্কে বিপজ্জনকভাবে বীতশ্রদ্ধভাব ও সংশয় পোষণ করা শুরু করেছে ।
আমাদের অবশ্যই এ থেকে সাবধান হতে হবে ৷ নাস্তিকদের তথ্যগুলো হাজারবার যাচাই না করে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না!
হে আল্লাহ আপনি এদের অপপ্রচার হতে আমাদের রাসূলকে সাঃ রক্ষা করুন ৷

Post a Comment

0 Comments