Counter postঃ
আল্লাহর একত্ববাদ নিয়ে নাস্তিকের মিথ্যাচার ও তার জবাবঃ
প্রশ্ন :
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা নিজের জন্য কোথাও সীগায়ে ওয়াহিদ (একবচন) ব্যবহার করেছেন আবার কোথাও সীগায়ে জমা (বহুবচন) ব্যবহার করেছেন। আবার কোথাও একই আয়াতে সীগায়ে ওয়াহিদ ও জমা উভয়টি ব্যবহার করেছেন।এতে বুঝাগেল আল্লাহ্ এক নয় একাধিক!
যেমনঃ
فَذَرْنِي وَمَنْ يُكَذِّبُ بِهَذَا الْحَدِيثِ سَنَسْتَدْرِجُهُمْ مِنْ حَيْثُ لَا يَعْلَمُونَ ، وَأُمْلِي لَهُمْ إِنَّ كَيْدِي مَتِينٌ (القلم : 44)
জবাবঃ-
আল্লাহ তাআলার জন্য ব্যবহৃত সীগায়ে ওয়াহিদ ও জমা-এর বাংলা অনুবাদে আমরা সাধারণত কোনো পার্থক্য করি না; বরং সর্বাবস্থায় সীগায়ে ওয়াহিদ দ্বারাই অনুবাদ করে থাকি।
প্রশ্ন আসতে পারেঃ-
(ক) কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা সম্বন্ধে জমার সীগা ব্যবহারের হেকমত কী?
(খ) আরবী ও বাংলা সাহিত্য অনুসারে এবং তরজমাতুল কুরআনের উসূল মোতাবেক এ ধরনের জমার সীগার বাংলা তরজমা কী হওয়া উচিত? এবং এ বিষয়ে ঐ আলেমের বক্তব্য কতটুকু যুক্তিযুক্ত? আল্লাহ তাআলা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
উত্তর:
আল্লাহ তাআলার কালাম কুরআনুল কারীমের ভাষা হচ্ছে খাঁটি ও বিশুদ্ধ আরবী ভাষা। কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন : وهذا لسان عربي مبين (আর এটা সুস্পষ্ট আরবী ভাষা)। অর্থাৎ এই আরবী কুরআনের ভাষা হল, আরবী ভাষার অনন্য সাধারণ বাকরীতিসম্মত এবং আরবীর অনুপম অলংকার ও সাহিত্যগুণসম্পন্ন।
সুতরাং কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলার শানে যে ‘যমীরে মুতাকালিস্নম’ বা বক্তাপক্ষের[1] কোথাও একবচনের সর্বনাম, কোথাও বহুবচনের সর্বনাম এবং কোথাও পাশাপাশি একবচন ও বহুবচনের সর্বনাম ব্যবহার হয়েছে, তা আরবী বাকরীতি ও অলংকারসম্মত হবে বৈকি। আল্লাহ তাআলা সব দিক থেকে এক অদ্বিতীয় ও ‘লা-শারীক’-এই বিবেচনায় তাঁর সম্বন্ধে একবচনের সর্বনাম ব্যবহার হতে পারে। আবার আল্লাহ তাআলা হলেন মহামহিম, সার্বভৌমত্বের মালিক এবং সকল গুণাবলীর আধার- এই মহিমা ও গুণাবলীর বহুত্ব বরং অসীমতা ও অপরিমেয়তার বিবেচনায় তাঁর সম্বন্ধে বহুবচনের যমীর ও সর্বনাম ব্যবহার হতে পারে।
আরবী ভাষায় কোনো মহান ও সম্মানিত ব্যক্তির জন্য বহুবচনের ব্যবহার সুপরিচিত। এটিকে সম্মানার্থে বহুবচন বলা হয়। বরং এটিকে অনেক আরবী ভাষাবিদ ‘বহুবচন’ না বলে ‘মহিমাজ্ঞাপক একবচনের সর্বনাম’ বলেছেন। তাঁদের ভাষায় এর নাম হলো: ضمير العظمة، نون العظمة، ضمير المتكلم المعظم نفسه، ضمير المتكلم الواحد المطاع، لفظ المتكلم المطاع ইত্যাদি। [2]
ফার্সি-উর্দু-হিন্দীতে কি সাহিত্যের ভাষা, কি কথ্য ভাষা উভয়টাতেই সমানভাবে বক্তাপক্ষ ও শ্রোতাপক্ষের সর্বনামে সম্মানার্থে বহুবচনের প্রয়োগ সুপ্রচলিত। এছাড়া উর্দূ-হিন্দীতে ‘আপ’এই বিশেষ সর্বনামটি সম্মানার্থে শ্রোতা ও অন্যপক্ষের জন্যে ব্যবহার হয়ে থাকে। এসব ভাষাভাষী এবং এসব ভাষার সাথে পরিচিত যে কোনো ব্যক্তিই এ বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিফহাল, এসব ভাষার যে কোনো অভিধান ও ব্যাকরণগ্রন্থেই এ বিষয়টির উলেস্নখ পাওয়া যাবে। নমুনাস্বরূপ দেখা যেতে পারে : ‘ফীরুযুল লুগাহ’ (‘হাম’ ও ‘তোম’ শব্দ দুটি) এবং ‘উর্দু ছারফ ও নাহব’, বাবায়ে উর্দু, ড. আব্দুল হক, উর্দু একাডেমী, করাচি (যমীরের আলোচনা)।
পক্ষান্তরে আমাদের আধুনিক বাংলা ভাষায় সম্মানার্থে বহুবচনের ব্যবহার অজ্ঞাত। এ ছাড়া বাংলা ভাষার একটি বৈশিষ্ট্য হল, এতে ক্রিয়া ও সর্বনামের সাধারণ, অন্তরঙ্গ বা তুচ্ছতাবোধক এবং গৌরববাচক বিশেষরূপ রয়েছে। যথা : মধ্যম ও প্রথম পুরুষে বলা হয়: তুই চলিস, তুমি চল, আপনি চলেন, সে চলে, তিনি চলেন। (ভাষা-প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ, সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, পৃ. ৪৩০)
আর বক্তাপক্ষে একবচনের ‘আমি’ সর্বনামটি সাধারণরূপ। সকলেই নিজের সম্বন্ধে এটি ব্যবহার করতে পারেন, তবে মৌলিকভাবে ‘আমি’ সর্বনামটি মান্যার্থে ব্যবহৃত এবং ‘মুই’ সর্বনামটি তুচ্ছার্থে ব্যবহৃত। (দ্রষ্টব্য : বাঙ্গালা ব্যাকরণ, ড. মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ পৃ. ৭৫)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন: ‘মুই’ এককালে উত্তমপুরুষ সর্বনামের সাধারণ ব্যবহারে প্রচলিত ছিল, প্রাচীন কাব্যগ্রন্থে তা দেখতে পাই। ‘আমহি’ ক্রমশ ‘আমি’ রূপ ধরে ওকে করল কোণঠাসা, ও রইল গ্রাম্য ভাষার আড়ালে। সেকালের সাহিত্যে ওকে দেখা গেছে দীনতা প্রকাশের কাজে। যেমন মুঞি অতি অভাগিনী। নিজের প্রতি অবজ্ঞা স্বাভাবিক নয় তাই ওকে সংকোচে সরে দাঁড়াতে হল। কিন্তু মধ্যম পুরুষের বেলায় যথাস্থানে কুণ্ঠার কোনো কারণ নেই, তাই ‘তুই’ শব্দে বাধা ঘটেনি, নীচের বেঞ্চিতে ও রয়ে গেল।’ ‘তুহিঁ’ ‘তুমি’ রূপে ভর্তি হয়েছে উপরের কোঠায়। এরও গৌরবার্থ অনেকখানি ক্ষয়ে গেল, বোধ করি নির্বিচার সৌজন্যের আতিশয্যে। তাই উপরওয়ালাদের জন্যে আরও একটা শব্দের আমদানি করতে হয়েছে, ‘আপহিঁ’ থেকে ‘আপনি’। (দ্রষ্টব্য : বাংলা ভাষার পরিচয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পরিচ্ছেদ-১৪)
মজার বিষয় হল, বাংলা ভাষায় সম্মানসূচক উপরোক্ত সর্বনামগুলো ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ অনুসারে গৌরবে বহুবচন থেকেই উৎপন্ন। ভারতীয় ভাষাতত্ত্বের প্রখ্যাত পন্ডিত ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন- একবচনের রূপ ‘তুই’ তুচ্ছতাবোধক হইয়া দাঁড়ালে বহুবচনের ‘তুমি’ গৌরবে বা আদরে একবচনের রূপ ধারণ করে। তদনন্তর ‘তুমি’-এর নূতন বহুবচনের রূপ ‘তোমরা’ প্রভৃতি সৃষ্টি হয়। ‘তুই-মুই করা’- এই বাক্যে ‘তুই মুই’ পদদ্বয়ের দ্বারা তুচ্ছতা বা অসম্মানজ্ঞাপক প্রয়োগের কথা সূচিত হইতেছে। (দ্রষ্টব্য : ভাষা-প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ, পৃ. ২৭৭)
তুলনামূলক ব্যাকরণের আলোচনায় তিনি লিখেছেন: ‘গৌরবে বহুবচনের প্রয়োগ হইতে উৎপন্ন কতকগুলি সর্বনামের গৌরবে প্রয়োগ বাঙ্গালাতে দেখা যায়। সংস্কৃতে উহা অজ্ঞাত। যথা : এ-ইনি, সে-তিনি, তাহার-তাঁহার’ ইত্যাদি।’
(দ্রষ্টব্য : প্রাগুক্ত, পৃ. ৪৩০; আরও দ্রষ্টব্য : বাংলা ভাষার পরিচয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পরিচ্ছেদ -১৪)
একইভাবে, মান্যার্থে ব্যবহৃত এক বচনের ‘আমি’ মূলে বহুবচন ছিল।
ভাষা তাত্ত্বিক ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে লিখেছেন- ‘
প্রাচীন বাঙ্গালায় ‘মুই’ মূলত : একবচনের পদ। আমি (আহ্মি = আমহি, আহ্মে = আমহে) বহুবচনের; আসামীতে এখনও মুই একবচনে ও আমি বহুবচনে ব্যবহৃত হয়। তদ্রূপ উড়িয়াতে ‘মুঁ’ (একবচন) ‘আম্ভে’ বহুবচন, হিন্দুসত্মানীতে ‘মৈঁ’ (একবচন), ‘হম’ (বহুবচন)। বহুবচনের ‘আমি’ ক্রমে একবচনেও ব্যবহৃত হইতে থাকে। এবং একবচনের ‘মুই’ বিরল-প্রচার বা অপ্রচলিত হইয়া যায়। ‘আমি’ তখন পুরোপুরি একবচনেরই পদ হইয়া দাঁড়ায়, এবং বহুবচনের জন্য ‘আমি’ হইতে ‘আমরা-সব’, ‘আমরা’ প্রভৃতি নূতন রূপের সৃষ্টি হয়। (দ্রষ্টব্য : ভাষা-প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ পৃ. ২৭২) আরও দ্রষ্টব্য : বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান : (আমি, অহং, অস্মদ, আহ্মা); বাংলা একাডেমী, বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান; (আমি, আমী শব্দের বিবর্তন)
ইংরেজি ভাষায়ও সম্মানার্থে উত্তমপুরুষের বহুবচনের প্রয়োগ লক্ষ করা যায়। দৃষ্টান্ত স্বরূপ ১৮৫৮ সালের ১ নভেম্বর মহারাণী ভিক্টোরিয়ার পক্ষ হতে ভারতের প্রধান ও জনগণের প্রতি ঘোষণাপত্রের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। ঘোষণাপত্রটির দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ এখানে উল্লেখ করছি-
Whereas, for divers weighty reasons, We have resolved, by and with the advice and consent of the lords Spiritual and Temporal, and Commons, in Parliament assembled, to take upon Ourselves the Government of the Territories in India heretofore administered in trust for Us by the Honorable East India Company:
Now, therefore, We do by these presents notify and declare that, by the advice and consent aforesaid, We have taken upon Ourselves the said Government; and We hereby call upon all Our Subjects within the said Territories to be faithful, and to bear true Allegiance to Us, Our Heirs, and Successors, and to submit themselves to the authority of those whom We may hereafter, from time to time, see fit to appoint to administer the Government of Our said Territories, in Our name and on Our behalf:
(Queen's proclamation, P-2) উপরোক্ত উদ্বৃতিতে রাণী ভিক্টোরিয়ার জন্য সম্মানার্থে প্লুরাল রূপ ব্যবহার করা হয়েছে। ইংরেজিতে একে 'Royal we' বলা হয়। দ্রষ্টব্য: Oxford Advanced Learner's Dictionary, P-1337।
কিন্তু বর্তমান ইংরেজি সাধারণ কথ্য ভাষায় ও সাহিত্যের ভাষায় এর প্রচলন কতটুকু তা এমুহূর্তে আমার জানবার সুযোগ হয়নি। এ বিষয়ে ইংরেজি ভাষাবিদ ও সাহিত্যিকদের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।
যাহোক, বিভিন্ন ভাষায় ব্যক্তির মর্যাদা ও গৌরব প্রকাশের জন্য একবচনের স্থলে বহুবচনের সর্বনাম ব্যবহার হয়ে থাকে। এর কারণ সম্ভবত এই যে, একজন মান্য ও বরেণ্য ব্যক্তি সাধারণত একলা থাকেন না, বা নিঃসঙ্গ ও নিঃসহায় হন না। বরং তাঁর সাথে থাকে তাঁর সহচর ও সহযোগী, খাদেম ও সেবক এবং ভক্ত ও সমর্থক।
তিনি যদি হন কোনো সম্রাট বা সম্রাজ্ঞী কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান তবে তো তাঁর সাথে থাকবে উপদেষ্টা ও পরামর্শদাতা এবং আজ্ঞাবহ বিভিন্ন বাহিনী। এই বিবেচনায় একজন মান্য ও মহৎ ব্যক্তির পক্ষে বহুবচনের সর্বনাম প্রয়োগ তাঁর গৌরব ও মাহাত্ম্যের প্রতি ইঙ্গিত বহন করে।
এ ধরনের ব্যাখ্যাই হাফেজ সালাহুদ্দীন খলীল সাফাদী (মৃত্যু : ৭৬৪ হি.) পেশ করেছেন। দেখুন : নুছরাতুছ-ছায়ির আলাল মাছালিছ সায়ির (১/৭১, আল মাকতাবাতুশ শামিলা সংস্করণ)
ইমামুন নাহব রযীউদ্দীন মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (মৃত্যু : ৬৮৬ হি.) ‘আল ওয়াফিয়া শারহুল কাফিয়া’ গ্রন্থে (ফেয়েলে মুযারের বহছ ৪/১৮)- যা ‘শরহুর রযী’ নামে প্রসিদ্ধ- বলেন:
ويقول الواحد المعظم أيضا : نفعل وفعلنا، وهو مجاز عن الجمع لعدهم المعظم كالجماعة অর্থাৎ সম্মানী ও মহান ব্যক্তি একজন হলেও বহুবচনের সর্বনাম ব্যবহার করে বলেন, نفعل বা فعلنا । এটি বহুবচনের রূপকার্থ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। কারণ, একজন মহান ব্যক্তি একাই অনেক জনের সমষ্টিতুল্য।
তবে কুরআনে কারীমে যে বহুবচনরূপী ضمير العظمة (মহিমাব্যঞ্জক সর্বনাম) ব্যবহার হয়েছে তা নিজস্ব ব্যঞ্জনা এবং শব্দালংকার ও অর্থালংকারে সমৃদ্ধ।
এ বিষয়ে ‘তাফসীরুল কুরআন’-এর অনেক কিতাবে সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহে কোথাও সংক্ষিপ্তভাবে এবং কোথাও কিছুটা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
এখানে অতি সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয় পেশ করছি :
এক. পূর্বোক্ত ব্যাখ্যা অনুসারে আল্লাহ তাআলা সম্বন্ধে বহুবচনরূপী ضمير المتكلم الواحد المعظم نفسه ব্যবহারের একটি উদ্দেশ্য হল- তাঁর শানে জালাল ও মহিমা এবং সব বিষয়ে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অভিব্যক্তি প্রকাশ করা।
অর্থাৎ এখানে এমন একটি আবহ তৈরি হয় যেন মহামহিম আল্লাহ ضمير العظمة-এর মাধ্যমে আপন মহিমায় আত্মপ্রকাশ করেছেন। ফলে শ্রোতাগণের উপর মহিমা ও গৌরবের এমন তাজাল্লীর বিচ্ছুরণ হয় যা আয়াতের ভাব ও মর্মবাণীকে তাদের অন্তরের গভীর অনুভূতির সাথে পূর্ণ একাত্ম করে দেয়।
কুরআনী বালাগাতের এই রহস্য সম্পর্কে নিমেণাক্ত তাফসীরগ্রন্থগুলো দেখা যেতে পারে-
(১) নাযমুদ দুরার ফি তানাসুবিল আয়াতি ওয়াস সুয়ার, হাফেজ বুরহানুদ্দীন আল বিকায়ী (মৃত্যু : ৮৮৫ হি.)। এতে ‘যমীরুল আযামাহ’-এর প্রতিটি স্থানের তাফসীর দেখার মত। কারণ এতে প্রতিটি স্থানে ‘যমীরুল আযামাহ’-এর তাফসীর সযত্নে পুনরুক্ত হয়েছে।
(২) আল কাশশাফ, জারুল্লাহ যমখশারী (মৃত্যু : ৫৩৮ হি.) (দ্রষ্টব্য : সূরা ত্বহা ১-৪, ৫৩; সূরা নামল : ১৬ আয়াতসমূহের তাফসীর)
(৩) আল বাহরুল মুহীত, আবূ হায়্যান আন্দালুসী, (মৃত্যু : ৭৪৫ হি.) (বিশেষত সূরা বাকারা-২৩, ৩৪, ৪৯ আয়াতসমূহের তাফসীর দ্রষ্টব্য)
(৪) তাফসীরু আবিস সুউদ, কাযী আবুস সুউদ আল হানাফী (মৃত্যু : ৯৮২ হি.)
(৫) আশরাফুত তাফাসীর, (বিভিন্ন আয়াত সর্ম্পকে হযরত থানভী রাহ. -এর তাফসীরের সংকলন) ২/৯৪, ৩/৮৯-৯০
0 Comments