চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতি কি আল্লাহর অস্ত্বিত্ব কে মিথ্যা প্রমাণ করছে???
লিন্ডসে নামক সুইডেনের নাগরিক জরায়ু ছারাই জন্ম নেয় ৷ ফলে হয়ে পরে সন্তান জন্মদানে অক্ষম! বিষয়টি ১৫ বছর বয়সে গবেষকদের জানানো হলে তারা ব্যাবস্থা নেয়া শুরু করে । জরায়ু প্রতিস্থাপন করা হয় । ২০১৪ সালের নভেম্ভর মাসে সে সফল ভাবে একটি বাচ্চার জন্ম দেয় ।
এই ঘটনা নিয়ে নাস্তিকরা আকাশে বাতাসে তুফান উড়িয়ে দিয়েছে ৷ এতে নাকি কোরআন, হাদীস মিথ্যা হয়ে গেছে! আল্লাহর অস্তিত্ব নাকি মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে গেছে!!
আল্লাহ্ নাকি জরায়ু ছাড়া পৃথিবীতে পাঠায়, আর মানুষ নাকি জরায়ু স্থাপন করে তাকে মা হওয়ার সুজোগ করে!
মূলত যারা এসব বলে তারা জীবনে কোরআন, হাদীস পড়েই নাই ৷ গুরুদের শেখানো কথা শুধু তোতা পাখির মত বলে বেড়ায় ৷
তারা জানেই না যে এই ঘটনায় কোরআন এবং হাদীসের বাণী কতটা সত্যে পরিনত হয়েছে ৷
কোরআনে আল্লাহ বলেন
[80] وَإِذا مَرِضتُ فَهُوَ يَشفينِ
[80] যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন।
(সূরা আশ শোয়ারা)
তাফসিরে এসেছে আল্লাহতায়ালার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে আমাদের দেহ সৃষ্টি করেছেন; এমনকি শরীরে ক্ষত তৈরি হলেও তা ভরাট হয়ে যাওয়ার অবস্থা তৈরি করেই তিনি এই শরীর সৃষ্টি করেছেন। এ ছাড়া, রোগমুক্তির জন্য ওষুধ তৈরির বুদ্ধিও আল্লাহই মানুষকে দিয়েছেন। কাজেই দেখা যাচ্ছে, আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর ভূমিকা অপরিসীম।
হাদীসে এসেছে
( বুখারী শরীফ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বলেছেনঃ আল্লাহ এমন কোন রোগ পাঠাননি যার আরোগ্যের ব্যবস্থা দেননি। আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=30265
সুনানে ইবনে মাজাহ,
৪/৩৪৩৯।, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ এমন কোন রোগ পাঠাননি যার প্রতিষেধকের ব্যবস্থা করেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=44403
সূনান তিরমিজী
২০৪৫. বেদুঈন আরবরা একবার বলল, হে আল্লাহর রাসূল ! আমরা কি চিকিৎসা করব না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহর বান্দাগণ ! তোমরা চিকিৎসা করবে, আল্লাহ তা‘আলা এমন কারণ রোগ সৃষ্টি করেন নি যার কোন প্যতিষেধক তিনি রাখেণ নি। কিন্তু একটি রোগের কোন প্রতিষেধক নেই। তাঁরা বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ, সেটি কি? তিনি বললেন, বার্ধক্য।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=37399
বইঃ সূনান আবু দাউদ
৩৮১৫. হাফস ইবন উমার (রহঃ) ........ উসামা ইবন শারীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এমন সময় আসি, যখন তাঁর সাহাবীগণ তাঁর চারপাশে এমন ভাবে বসে ছিল, যেন তাঁদের মাথার উপর পাখী বসে আছে (অর্থাৎ শান্তভাবে)। এরপর আমি সালাম করি এবং বসে পড়ি। এ সময় এর আরবের লোকেরা এদিক-সেদিক থকে সেখানে সমবেত হয় এবং তারা বলেন : ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমরা কি চিকিৎসা করাব ? তিনি বলেন : হ্যাঁ, তোমরা রোগের চিকিৎসা করাবে । কেননা, আল্লাহ তা’আলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেন নি, যার চিকিৎসার জন্য ঔষধের ব্যবস্থা রাখেন নি; তবে বার্ধক্য এমন একটি রোগ যার কোন চিকিৎসা নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=35922
এই কোরআনের আয়াত এবং হাদীসগুলো হতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে আল্লাহ তায়ালা রোগের প্রতিকারের উপায় রেখেছেন এবং ধীরে ধীরে মানুষ তা আবিষ্কার করছে ৷
এবং এই পদ্ধতিগুলো আবিষ্কারের মাধ্যমে কোরআন এবং হাদীসের বাণী সত্য প্রমাণিত হচ্ছে ৷অতএব, হে নাস্তিক ভাই ও বোনেরা চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতিতে উল্লাস নয় ক্রন্দন করেন ৷
0 Comments