Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

6/recent/ticker-posts

নাস্তিকদের অপবাদ, প্রশ্ন, যুক্তি ,উক্তি, মিথ্যা ,অপ্রচার, কটুক্তি ও অবমাননার বিজ্ঞানভিত্তিক জবাব।

#কাউন্টার_from_আস্তিক

নাস্তিকরা প্রায়শই বলে থাকে আল কোরআন যদি আল্লাহর বাণী হয়ে থাকে তাহলে সুরাহ ফাতিহা কার বাণী? আমি সেই সকল নাস্তিক তথা ইসলাম বিদ্ধেশীদের বলব, হে মুত্রমনা!! পুরো কোরআন পড়ে তারপর এ প্রশ্ন করুন। এক/দুই লাইন পড়ে কোরআনের ভুল ধরা আর পাগলের প্রলাপের সাথে কোন প্রাথর্ক নেই। আল্লাহ সুরাহ ফাতিহা তথা এই সাত আয়াতকে এবং সম্পুর্ন কোরআনকে আলাদা আলাদা ভাবেই মেনশন করেছেন। আল্লাহ বলেন,
وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِنَ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنَ الْعَظِيمَ

(Muhiuddin Khan)
আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি।

-Sura Al-Hijr, Ayah ৮৭

উপরোক্ত আয়াতই প্রমান করে সুরাহ ফাতিহাকে আল্লাহ তায়ালা ভিন্ন ভাবেই উপস্থাপন করেছেন। বিভিন্ন হাদিস ঘেটেও এটাই প্রতিয়মান হয় যে, মুহাম্মদ সা: বলেছেন এই সাত আয়াত বা সুরাহ ফাতিহার মত সুরাহ আর কোন নবী বা রাসুলকে দেওয়া হয় নাই।
এটি হচ্ছে আল্লাহর তরফ থেকে মুহাম্মদ সা: এর প্রতি একটি বিশেষ উপহার স্বরূপ।(তাফসীর ইবনে কাসির)

সুরাহ ফাতিহা থেকে আরো কিছু প্রতিয়মান হয় যে, এই সুরাহটি হচ্ছে একটি application form এর মত। আমরা যখন কোন অফিসে চাকরীর জন্য আবেদন করি তখন অফিস কতৃপক্ষ কিন্তুএকটি application form দেয় যা আমরা শধুমাত্র পুরন বা fill up করে দেইমাত্র। সেই রকম application form ই হচ্ছে সুরাহ ফাতিহা। আর কিভাবে আল্লাহর কাছে আমরা আবেদন করব সেই ফর্মুলা আমাদের সুরাহ ফাতিহার মাধ্যমে বাতলে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
সেই জন্য আল্লাহ তায়ালা সুরাহ ফাতিহাকে আলাদা ভাবেই উপস্থাপন করেছেন। যাতে আল্লাহর নিকট আমাদের চাওয়া এক ও অভিন্ন হয়।
কোরআনের সুরাহ বাকারা থেকে নাস পর্যন্ত কোথাও এরকম ভাবে বলা নাই যেভাবে সুরাহ ফাতিহার মধ্যে বলা আছে। পাশাপাশি সুরাহ ফাতিহা ও কোরআনের অন্য যে কোন সুরাহ এর  আয়াত রাখলেই সহজেই সেটা বোধগম্য হবে ইনশাল্লাহ।যেমন,

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

(Muhiuddin Khan)
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

-Sura Al-Fatihah, Ayah ১
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

(Muhiuddin Khan)
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।

-Sura Al-Fatihah, Ayah ২

الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

(Muhiuddin Khan)
যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।

-Sura Al-Fatihah, Ayah ৩
******************************

(Muhiuddin Khan)
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,

-Sura Al-Ikhlas, Ayah ১

উপরোক্ত আয়াতগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, সুরাহ ফাতিহাতে *বল* শব্দটি ব্যবহার করা হয় নি কিন্তু সুরাহ ইখলাসের শুরুতেই *বল* শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। তার মানে দাড়াচ্ছে, সুরাহ ফাতিহা হচ্ছে আমাদের ভাষ্য কিন্তু আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন আর বাকি সুরাহগুলো স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার বাণী। এ থেকে আরো প্রতিয়মান হয় যে, সুরাহ ফাতিহা আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই জন্যই দিয়েছেন যাতে আমরা সহজেই আল্লাহর কাছে চাইতে পারি। আর এই চাওয়াটাই একটি application form এর মত করে আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন।

কাজেই নাস্তিকদের এই প্রশ্ন অমুলক যে, সুরাহ ফাতিহার মাধ্যমে আল্লাহই আবার অন্য কারো নিকট চাইছে বা আবেদন করছে।(নাউজু বিল্লাহ)
সুতরাং নাস্তিকদের এই দাবী ভিত্তিহীন বৈ আর কিছুই না।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>><<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<

Post a Comment

0 Comments