★কোরান কি কখনো কোন নিরপরাধকে হত্যার অনুমতি দেয় ?
ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক ও হিন্দুরা কোরান সম্পর্কে খুব কমন যে অভিযোগটা করে তা হচ্ছে কোরান নাকি অমুসলিমদের হত্যার অনুমতি দেয়। এর প্রমান হিসেবে তারা কোরান থেকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে কিছু আয়াত পেশ করে দেখায় যে, কোরান নাকি কাফির মুশরিকদের হত্যা করতে বলছে। আমি তাদের ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম , পুরো কোরান থেকে একটা মাত্র আয়াত তারা দেখাক যে, কোরান কোন নিরপরাধকে হত্যার কথা বলছে, সে মুশরিক হোক, কাফের হোক বা অন্যান্য যে ধর্মালম্বীই হোক না কেন।বিদ্বেষীরা যেসব আয়াত হাজির করে তা একে একে পর্যালোচনা করা হল:-
★অভিযুক্ত আয়াত ১ঃ সুরা তওবার ৫ নং আয়াতটা বর্তমানে ইসলাম বিদ্বেষীদের টাইমলাইনে খুব বেশি পাওয়া যায়, আয়াতটা হল,
"অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। " (কোরআন ৯ঃ৫)
*জবাবঃ এই আয়াত দ্বারা তারা বলতে চায় যে কোরান নাকি মুসলিমদের সকল অমুসলিমকে হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে এবং শুধুমাত্র মুসলিম হয়ে নামাজ আর যাকাত আদায় করলে তাদের ছেড়ে দিতে বলেছে। আসলেই কি তাই ?
ধরুন স্কুলের হেড মাষ্টার যদি বলেন, "ক্লাসের দুষ্টু ছাত্রদের আমার কাছে নিয়ে আস"। এরপর যদি বলেন, " ছাত্রদের টিসি দিয়ে দাও"
তো এর মানে কি সে সকল ছাত্রদের টিসি দিতে বলেছেন ? নাকি আগের লাইনে যে দুষ্টু ছাত্রদের কথা বলেছে তাদের ? শিক্ষকের আগে পরের লাইন বাদ দিয়ে যদি একটা কথা শুধু বিচার করি তাহলে তো অর্থই চেইঞ্জ হয়ে যাবে।
কোরানের এই আয়াতটাকেও বিদ্বেষীরা ঠিক সেভাবেই ব্যবহার করে।কোরানের এই আয়াতে যাদের হত্যার কথা বলা আছে, তারা কারা, তারা কি নিরপরাধ মুশরিক ? এর জবাবও কিন্তু দেয়া আছে সেই একি সুরার ১৩ নাম্বার আয়াতে, যা বিদ্বেষীরা কখনো আপনাকে দেখাবে না ।
"তোমরা কি সেই দলের সাথে যুদ্ধ করবে না; যারা ভঙ্গ করেছে নিজেদের শপথ এবং সংকল্প নিয়েছে রসূলকে বহিস্কারের? আর এরাই প্রথম তোমাদের সাথে বিবাদের সূত্রপাত করেছে। তোমরা কি তাদের ভয় কর? অথচ তোমাদের ভয়ের অধিকতর যোগ্য হলেন আল্লাহ, যদি তোমরা মুমিন হও। (কোরআন ৯ঃ১৩)
অর্থাৎ এখানে শূধু চুক্তি ভংগকারী, বিবাদ সূচনাকারী এবং একি সাথে রাসুল (সাঃ) কে হত্যার ষড়যন্ত্রকারী মুশরিকদেরই হত্যার অনুমতি দিয়েছে। কোন নিরপরাধকে নয়। সেই সাথে কোরান সেই চুক্তি ভংগকারীদের উপর সাথে সাথেই ঝাঁপিয়ে পড়তে বলে নি। বরং অপেক্ষা করতে বলেছে যতক্ষন না তারা আক্রমন করে।
এরপরের আয়াতেই আছে " তবে যাদের সাথে তোমরা চুক্তি সম্পাদন করেছ মসজিদুল-হারামের নিকট। অতএব, যে পর্যন্ত তারা তোমাদের জন্যে সরল থাকে, তোমরাও তাদের জন্য সরল থাক।" (কোরান ৯ঃ৭)
এই চুক্তির ব্যাপারে সুরা বাকারার ১৯১ আয়াতেও আছে, "আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি।" [কোরান ২: ১৯১]
দেখুন আমরা এখানে স্পষ্টই দেখতে পেলাম কোরান শুধু সেই চুক্তিভংগকারীদের, এবং চুক্তিভংগ করে মুসলিমদের আক্রমনকারীদেরকেই হত্যার অনুমতি দিয়েছে। এখন ইসলাম বিদ্বেষীরা কি বলতে চায় যে মুসলিমদের আত্বরক্ষারও ও অধিকার নেই ?
এবার দেখুন কোরানের এই চুক্তিভঙ্গরীদের প্রতিও চূড়ান্ত মানবতার নিদর্শন, সেই অভিযুক্ত আয়াতটির ঠিক পরের আয়াতেই আছে (৯ঃ৬) "আর মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দেবে, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়, অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌছে দেবে। এটি এজন্যে যে এরা জ্ঞান রাখে না।"(কোরান ৯ঃ৬) চিন্তা করুন, সেই ধোকাবাজ ও চুক্তিভঙ্গরীদের মধ্যেও যদি কেউ সাহায্য প্রার্থনা করে তাহলে কোরান তাকে মারা তো দূরে থাক, তাকে সাহায্য এবং নিরাপদ স্থানেও পৌছে দিতে বলেছে। দুনিয়ার কোন মানবতার কিতাব কি এই কথা বলে ?
★অভিযুক্ত আয়াত ২ঃ নাস্তিকদের অভিযুক্ত আরেকটি আয়াত হচ্ছে (কোরান ৪:৮৯),
তারা বলে, এখানে নাকি কোন রাখঢাক না রেখেই কোরান অমুসলিমদের হত্যা করতে বলেছে। আয়াতটি হচ্ছে।"
"তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।"
*জবাবঃ জানেন কি যে, বিদ্বেষীদের শূধু এই আয়াতটা প্রচার করা হচ্ছে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যাচার ?
কারন এর পরের আয়াতেই আছে, "অতঃপর তারা যদি তোমাদের থেকে পৃথক থাকে তোমাদের সাথে যুদ্ধ না করে এবং তোমাদের সাথে সন্ধি করে, তবে আল্লাহ তোমাদের কে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ দেননি।"
(কোরান ৪:৯০)
দেখুন কত বড় মিথ্যাচার। এখানেও সেই একি কথা।কাফিরদের মধ্যে যারা হামলা করে নি এবং নিজেরা নিজেদের মত থাকে, তাদের ব্যাপারে যুদ্ধের কোন বিধান নেই। কোরানের এই আয়াতে স্পষ্ট, শুধু আত্বরক্ষার্থে যুদ্ধ এবং অন্যথা বিরত থাকতে বলে ইসলাম যে শান্তির ধর্ম তা আরেকবার প্রমান করল।
★অভিযুক্ত আয়াত ৩ঃ আর তাদেরকে হত্যা কর যেখানে পাও সেখানেই.....। (২:১৯১)
*জবাবঃ কোরানের পূর্ন আয়াতের এই ভগ্নাংশটি বহু ইসলাম বিরোধী প্রকাশনা ও প্রচারনায় অসংখ্যবার ব্যবহৃত হয়েছে। আসুন দেখি তাদের মিথ্যাচারের নমুনা। উক্ত আয়াতটির আগের আয়াতটি হল, "আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (২:১৯০ )
এরপর সেই আয়াতটি পুর্নাঙ্গভাবে , "আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুতঃ ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি।(" ২/১৯১)
পরের আয়াতে আরো আছে, "আর তারা যদি বিরত থাকে, তাহলে আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু।(২:১৯২")
কি বুঝলেন ? ইসলাম বিদ্দেষিরা যে মিথ্যার বেসাতী খুলে বসে থাকে এ ব্যাপারে কি কোন সন্দেহ আছে?
★অভিযুক্ত আয়াত ৪ঃ "তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
" [সুরা তাওবা: ২৯]
*জবাবঃ এই আয়াতটি হচ্ছে "জিজিয়া" করের কনসেপ্টে নাযিলকৃত। এই আয়াতে সেই আহলে কিতাবের লোকদের সাথে শুধু জিজিয়া কর দিতে অস্বীকৃতি জানালেই যুদ্ধ করতে বলা হয়েছে।
এই আয়াতে প্রথমে তাদের পরিচয় দিয়েছে অর্থাৎ "যারা রোজ হাশরে ঈমান আনে না," "আল্লাহ রাসুল যা হারাম করেছে তা হারাম করে না" , "এবং গ্রহন করে না সত্য ধর্ম", এই গুলা হচ্ছে তাদের পরিচয়।এগুলো তাদের সাথে যুদ্ধ করার কারন নয় বরং যুদ্ধ করতে বলেছে শুধু জিজিয়া কর না দিলে।
এবার ধরুন, কোন এক ব্যাক্তি রাষ্ট্রের ট্যাক্স না দেয় এবং সরকার যদি পুলিশ পাঠিয়ে তাকে গ্রেফতার করে আপনি কি সেটাকে সরকারের সন্ত্রাসবাদ বলবেন ? মোটেও নয়। জিজিয়া করের ব্যাপারটাও সেরকম। একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে প্রত্যেক মুসলিমকে যাকাত দিতে হবে। এই যাকাতই হচ্ছে ইসলামিক রাষ্ট্রের কর। কিন্তু যে অমুসলিম সে যাকাত দিবে না, তাই তার হতে যে করটি নেয়া হবে সেটি হচ্ছে 'জিজিয়া কর'। ঠিক যেভাবে রাষ্ট্র প্রত্যেক নাগরিককে কর দিতে বাধ্য করে, তেমনি ইসলামিক রাষ্ট্র প্রত্যেক মুসলিমকে 'যাকাত' ও প্রত্যেক অমুসলিমকে 'জিজিয়া' কর দিতে বাধ্য করে।
তবে এখানে উলটো অমুসলিমদের সুবিধা হল, যাকাতের তুলনায় জিজিয়া করের পরিমান অনেক কম এবং যাকাত দেয়ার পরেও মুসলিমরা দেশের প্রয়োজনে যুদ্ধে যেতে বাধ্য কিন্তু অমুসলিমরা জিজিয়া কর দিয়েই যুদ্ধে যাওয়ার দায়িত্ব হতে অব্যাহতি পায়। সেই সাথে জিজিয়া করের পরিমান এতই কম যে, একজন দারিদ্রের পক্ষেও তা দেয়া সম্ভব। তবে যদি কেউ দারিদ্রতার কারনে দিতে অস্বীকৃতি জানায় সেক্ষেত্রে তাকে মাফ করে দেয়া হয়।
উদাহরণস্বরুপ: উমর রাঃ এর শাসনকাল।
আর হ্যা যারা এই আয়াতকে নিয়ে মিথ্যাচার করতে চায় যে, কোরান অমুসলিমদের যুদ্ধ করে ইসলামে আনার কথা বলছে তাদের বলছি ধর্মের ক্ষেত্রে কাউকে বাধ্য করার নিয়ম না আছে এই আয়াতে ,না আছে কোরানের কোথাও, বরং এর বিপক্ষে কোরান থেকে অজস্র প্রমান দেয়া যাবে।যেমন-
"ধর্মের ক্ষেত্রে কোন জবরদস্তি নেই"
(কোরান ২ঃ২৫৬)
"এটা তোমার রবের পক্ষ থেকে, যার ইচ্ছা তাকে বিশ্বাস করতে দাও আর যার ইচ্ছা তাকে অবিশ্বাস করতে দাও" (কোরান ১৮ঃ২৯)
"অতএব তুমি উপদেশ দাও, তুমি তো একজন উপদেশদাতা মাত্র। তুমি তাদের উপর শক্তি প্রয়োগকারী নও।" (কোরান ৮৮ঃ২১-২২)
এরপরও যদি কেউ বলে যে, কোরান জোর করে কাউকে ধর্মান্তরিত করতে বলে তাহলে তার ব্যাপারে আর কি কিছু বলার আছে ?
★অভিযুক্ত আয়াত ৫ঃ আবার অনেকে আরো কিছু ছোট ছোট আয়াত দেয়। যেমন, "হে নবী কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জেহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোর হোন। তাদের ঠিকানা জাহান্নাম। সেটা কতোই না নিকৃষ্ট স্থান।"
(সূরা আত তাহরীম-৯)
*জবাবঃ মজার ব্যাপার হচ্ছে যারা এই আয়াত নিয়ে অভিযোগ করে তারা আসলে কাফির ও মুনাফিকের সংজ্ঞাই জানে না। এই দুটি শব্দকে তারা সকল অমুসলিমদের সাথে গুলিয়ে ফেলে।কাফির অর্থ সত্য গোপনকারী, যে ইসলামের সত্যতা দেখেও মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর মুনাফিক হচ্ছে সে যে মুখে বলে যে সে ইসলাম কবুল করেছে কিন্তু মুলত তার থাকে অন্য উদ্দেশ্য। মুসলিমদের ধোকা দেয়া, মুসলিম সেজে সে মুসলিমদের মাঝে বিবাদ গড়তে চাওয়া,একেই বলে মুনাফিক।
এখন যদি আল্লাহ এই দুই গোত্রদের প্রতি নবীজিকে কঠোর হতে বলেন এবং জেহাদ করতে বলেন, তাহলে দোষের কি ?
আর যে কেহ কাফির হতে পারে, কিন্তু যতক্ষন না সে নিজে মুসলিমদের সাথে বিবাদ করে, তার ব্যাপারে কোন প্রকারের ব্যাবস্থা নিতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন যার স্পষ্ট নির্দেশনা আছে, কোরান ৪:৯০ আয়াতে " তারা যদি তোমাদের থেকে পৃথক থাকে তোমাদের সাথে যুদ্ধ না করে এবং তোমাদের সাথে সন্ধি করে, তবে আল্লাহ তোমাদের কে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ দেননি।"
★অভিযোগ ৬ঃ এই আয়াত দিয়ে আবার অনেকে বলতে চায় ইসলাম যুদ্ধের ধর্ম," তোমরা বের হয়ে পড়ো স্বল্প বা প্রচুর সরন্জামের সাথে এবং জেহাদ করো আল্লাহর পথে নিজেদের জান ও মাল দিয়ে, এটি তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বুঝতে পারো।" (আত তাওবাহ/৪১)
*জবাবঃ প্রথম সমস্যা হচ্ছে অভিযোগ কারী জিহাদকে অনুবাদ করেছে যুদ্ধ হিসেবে। অথচ জিহাদ শব্দের অর্থ প্রেচষ্টা করা, সাধনা করা ইত্যাদি। যদি ধরেও নিই যে, এখানে যুদ্ধের জন্য মুসলিমদের আহবান করছে তাহলে বলি এর আগের পয়েন্টে স্পষ্টই আমি দেখিয়েছি যে, কোরান শুধু আত্বরক্ষার্তে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
প্রমানগুলো আবারো দেখাচ্ছি,
"যুদ্ধ কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা যুদ্ধ করে তোমাদের সাথে। তবে কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (কোরান ২:১৯০)
"আর যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঐ পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদেরকে কষ্ট দেয়া হয়। যদি সবর কর, তবে তা সবরকারীদের জন্যে উত্তম। ১৬:১২৬"
"আর যদি তারা সন্ধি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে তুমিও সে দিকেই আগ্রহী হও এবং আল্লাহর উপর ভরসা কর। নিঃসন্দেহে তিনি শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত। (কোরান ৮:৬১)
একি সাথে কোরান কখনো কোণ নিষ্পাপকে হত্যার অনুমতি দেয় না। কোরানের স্পষ্ট আয়াত,
"যখন কেউ কোন নিরপরাধকে হত্যা করে সে পুরো মানবতাকেই হত্যা করে, আর যখন কেউ কোন নিরপরাধের প্রান বাচায়, সে পুরো মানবতারই প্রান বাচায়" কোরান (৫:৩২)
0 Comments