রাসূলের ( সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত নবী হবার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ
♥♥♥মূল কথা হল রাসূল (সাঃ) নিজে কোরআন লিখেছে এবং সকলের সাথে প্রতারনা করে মিথ্যা ধর্ম প্রচার করেছে ৷ ( নাউজুবিল্লাহ)
রাসূলের ( সাঃ) সত্যবাদিতা নিয়ে তখনকার কাফেররা, যারা উনার চরম শত্রু ছিল, তারাও কখনও এত বড় মিথ্যাচার করেনি ৷ রাসূলকে ( সাঃ) আল আমিন নামেই ডাকত সবাই ৷ এমনকি আবু জাহেল কখনও রাসূলকে ( সাঃ) মিথ্যাবাদী বলার কোন প্রমাণ নেই!
যদি রাসূল ( সাঃ) মিথ্যাচারের মাধ্যমে ধর্ম প্রচার করতে চাইত ,তবে যেদিন উনার পুত্র ইব্রাহীম মৃত্যুবরণ করেন, সেদিনই করে ফেলতে পারতেন৷
রাসূলের ( সাঃ) পুত্রের মৃত্যুর পর সূর্যগ্রহণ শুরু হল এবং সকলেই বলতে লাগল রাসূলের ( সাঃ) পুত্রের মৃত্যুর কারনে এমন হয়েছে ৷
বইঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ১৬/ সূর্যগ্রহন (كتاب الكسوف), হাদিস নম্বরঃ ৯৮৬
৯৮৬। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... মুগীরা ইবন শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় যে দিন (তাঁর পুত্র) ইব্রাহীম (রাঃ) ইন্তেকাল করেন, সেদিন সূর্য গ্রহণ হয়েছিল। লোকেরা তখন বলতে লাগলো, ইব্রাহীম (রাঃ) এর মৃত্যুর কারণেই সুর্যগ্রহণ হয়েছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কারো মৃত্যু অথবা জন্মের কারণে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তোমরা যখন তা দেখবে, তখন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে এবং আল্লাহর নিকট দু’আ করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=993
দেখুন, সহজ, সরল লোকেরা কি বলল, আর সত্যবাদী নবী, সত্যের প্রচারক রাসূল ( সাঃ ) বললেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা ৷ তিনি স্পষ্টভাবে বলে দিলেন কারো জন্ম মৃত্যুর সাথে সূর্যগ্রহণ এর কোন সম্পর্ক নেই ৷ যদি তিনি ভন্ড বা প্রতারক হতেন তবে কি তা বলতেন?তিনি যদি তাদের কথার সাথে তাল মিলিয়ে বলতেন যে উনার পুত্রের মৃত্যুর কারনেই সূর্যগ্রহণ হয়েছে, তবে কতটা প্রভাব পরত বিজ্ঞানের ব্যাপারে শূন্যের নিচে ধারনা ওয়ালা লোকগুলোর? এটা কখনও ভেবেছেন?
তিনি কিভাবে জানলেন যে কারো জন্ম বা মৃত্যুর সাথে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের কোন সম্পর্ক নেই?
নাস্তিক ভাই ও বোনেরা, আপনারা কি কিছু বলবেন?
কেন তিনি তখনকার সাধারন মানুষকে প্রভাবিত করার সর্বশ্রেষ্ঠ এবং মোক্ষম সুযোগটি হাতছাড়া করলেন?
দেখুন, নিচের হাদীসটিকে আরও ভাল ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে ৷
বইঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ১৬/ সূর্যগ্রহন (كتاب الكسوف), হাদিস নম্বরঃ ৯৮৯
৯৮৯। ইয়াহইয়া ইবনু বুকাইর ও আহমাদ ইবনু সালিহ (রহঃ) ... নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবৎকালে একবার সূর্যগ্রহন হয়। তখন তিনি মসজিদে গমন করেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর লোকেরা তাঁর পেছনে সারিবদ্ধ হল। তিনি তাকবীর বললেন। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করলেন। এরপর তাকবীর বললেন এবং দীর্ঘক্ষণ রুকু’তে থাকলেন। এরপর سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলে দাঁড়ালেন এবং সিজদায় না গিয়েই আবার দীর্ঘক্ষন কিরাআত পাঠ করলেন। তবে তা প্রথম কিরাআতের চাইতে অল্পস্থায়ী।
তারপর তিনি ‘আল্লাহু আকবার’ বললেন এবং দীর্ঘ রুকু’ করলেন, তবে তা প্রথম রাকাআতের চাইতে অল্পস্থায়ী ছিল। তারপর তিনি বললেনঃ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ এরপর সিজদায় গেলেন। তারপর তিনি পরবর্তী রাকাআতেও অনুরূপ করলেন এবং এভাবে চার সিজদার সাথে চার রাকআত পুর্ণ করলেন। তাঁর সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করার পূর্বেই সুর্যগ্রহণ মুক্ত হয়ে গেল।
এরপর তিনি দাঁড়িয়ে আল্লাহর যথাযোগ্য প্রশংসা করলেন এবং বললেনঃ সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ আল্লাহর নিদর্শন সমুহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন মাত্র। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে গ্রহণ হয় না। কাজেই যখনই তোমরা গ্রহণ হতে দেখবে, তখনই ভীত হয়ে সালাত (নামায/নামাজ)-এর দিকে গমন করবে।
রাবী বর্ণনা করেন, কাসীর ইবনু আব্বাস (রহঃ) বলতেন, আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) সুর্যগ্রহণ সম্পর্কে আয়িশা (রাঃ) থেকে উরওয়া (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। তাই আমি উরওয়াকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার ভাই (আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর) তো মদিনায় যেদিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, সেদিন ফজরের সালাত (নামায/নামাজ)-এর ন্যায় দু’রাকাআত সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের অতিরিক্ত কিছু করেননি। তিনি বললেন, তা ঠিক, তবে তিনি নিয়ম অনুসারে ভুল করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=996
0 Comments