Counter Post From আস্তিক
রাসুল(সাঃ) এর বিরোদ্ধে ৫টি নোংরা অভিযোগের জবাব।
১। রাসুল সাঃ প্রতিরাতেই ১১জন স্ত্রীর সাথে সহবাস করতো। এতেই বুজায় রাসুল কতটা নারীলোভি কামুখ ছিলো। নাউযুবিল্লাহ।
২। রাসুল সাঃ রাস্তায় এক নারীকে দেখে উত্তেজিত হয়ে পরে তারপর সে উত্তেজনা কমাতে যয়নব রাঃ এর সাথে সহবাস করে।
৩। সওয়াদা বিনতে জাহামা মোটা ও বয়স্ক হওয়ায় রাসুল তার জন্য বরাদ্দকৃত রাতটি আয়শে দিয়ে দেয়।
৪। রাসুল সাঃ ঋতুবর্তী মহিলার সাথে সেক্স করছে ও সেক্সের পরামর্শ দিয়েছে নাউযুবিল্লাহ
জবাবঃ
ছুপা নাস্তিক Tanuza Afroj রাসুল সাঃ নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ করছে নিচে তার স্কিনসট দেয়া হলো। এবং আমাদের জবাব নিন্মরুপ।
১ম অভিযোগ ও তার জবাব
ইসলাম-বিদ্বেষীদের খুব প্রিয় মুখরোচক একটি অভিযোগ হচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতিরাতে নয় জন স্ত্রীর সাথে সহবাস করতেন। এই লেখাতে আমরা সেই অভিযোগকে যাচাই করে দেখবো।
প্রথমে নিচের হাদিসটা দেখুন-
আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন:
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক রাতে তাঁর সব স্ত্রীর সাথে সাক্ষাতকরতেন এবং সই সময় তার নয় জন স্ত্রী ছিল। [সূত্র: সহিহ বুখারি, আরবী: ২৮৪, ইংরেজি: ১।৫।২৮২, সুন্নাহ.কম: ৫।৩৬]
খুব স্বাভাবিক ব্যাপার, একজন দায়িত্বশীল স্বামীর জন্য তার সব স্ত্রীদের সাথে দিনে/রাতে একবার সাক্ষাত করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সমস্যা দাঁড়ালো ইংরেজি অনুবাদক যখন এ সংক্রান্ত অন্য দুটি হাদিসের অনুবাদে ব্র্যাকেটে এই সাক্ষাতকে ‘have sexual relation with’ দ্বারা ব্যাখ্যা করলেন:
Narrated Anas:
The Prophet I used to go round (have sexual relations with) all his wives in one night, and he had nine wives. [Bukhari Vol.7, Book 62, No.: 6]
Narrated Anas bin Malik:
The Prophet used to pass by (have sexual relation with) all his wives in one night, and at that time he had nine wives. [Bukhari Vol.7, Book 62, No.: 142]
ইংরেজি অনুবাদক সম্ভবত প্রভাবিত হয়েছেন নিচের হাদিস দ্বারা:
কাতাদা (রা.) হতে বর্ণিত:
আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন, “নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] দিনে এবং রাতে চক্রাকারে তাঁর সকল স্ত্রীদের সাথে সাক্ষাত করতেন এবং তাঁরা সংখ্যায় এগারো জন ছিলেন।” আমি আনাসকে জিজ্ঞেস করলাম, “নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কি এই পরিমাণ শক্তি ছিল? আনাস (রা.) উত্তর দিলেন, “ আমরা বলতাম যে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ত্রিশ জনের শক্তি দান করা হয়েছে।” আর সাঈদ কাতাদা (রা.) হতে বর্ণনা করেছেন যে, আনাস (রা.) তাঁকে শুধু নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন। [সূত্র: সহিহ বুখারি, আরবী: ২৬৮, ইংরেজি: ১।৫।২৬৮, সুন্নাহ.কম: ৫।২১]
যদিও এই হাদিসেও সহবাসের কোন উল্লেখ নাই, তবুও যেহেতু শক্তির প্রসঙ্গ এসেছে তাতে হয়ত ইংরেজি অনুবাদক ধরে নিয়েছেন এখানে সাক্ষাত বলতে সহবাসকে বুঝানো হয়েছে। কেননা সহবাসের ক্ষেত্রেই শক্তির প্রসঙ্গ আসতে পারে, শুধু সাক্ষাতের ক্ষেত্রে শক্তির প্রসঙ্গ আসার কথা না। আমি যদিও নিশ্চিত নই যে আসলেই আনাস বিন মালিক (রা.) এখানে সাক্ষাত বলতে সহবাসকে বুঝিয়েছেন কিনা কেননা সেক্ষেত্রে তিনি সরাসরি সহবাসের কথা উল্লেখ করলেই পারতেন; তথাপি তর্কের খাতিরে ধরে নিচ্ছি আসলেই আনাস বিন মালিক (রা.) এখানে সাক্ষাত বলতে সহবাসকেই বুঝাতে চেয়েছেন। এবার আসুন হাদিসটা একটু ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করি।
খুব সঙ্গত প্রশ্ন হচ্ছে:
আনাস বিন মালিক (রা.) এই কথা কার কাছ থেকে শুনেছেন, স্বয়ং নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট হতে, না তাঁর কোন স্ত্রীর নিকট হতে?
এই হাদিসে এ-সম্পর্কে কোন বক্তব্য নাই। অথচ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর স্ত্রীগণ ব্যতিত অন্য কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয় যে, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী সাক্ষাতকালে সহবাস করেছিলেন কিনা।
কাজেই আমরা যুক্তিসংগত ভাবেই ধরে নিতে পারি যে, যদি আনাস বিন মালিক (রা.) এই হাদিসে সহবাসকেই ইঙ্গিত করে থাকেন- তবে সেটা তার নিজস্ব ধারণা। সেই ধারণা ঠিকও হতে পারে, বেঠিকও হতে পারে। অথবা এটাও হতে পারে যে এখানে আনাস বিন মালিক রা. কোন বিশেষ সময়ের একরাতের কথা বুঝিয়েছেন, প্রতিরাতের কথা নয়।
কেন?
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর প্রত্যেক স্ত্রীর জন্য পর্যায়ক্রমে একদিন/একরাত নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন। এটা সুবিদিত এবং এ সংক্রান্ত হাদিসের কোন অভাব নেই, উদাহরণ হিসেবে নিচের হাদিসটি পেশ করা হলো:
যখনই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন সফরে যেতে চাইতেন, তিনি লটারি করতেন যে কোন স্ত্রী তার সঙ্গী হবে। যার নাম আসতো তিনি তাকেই নিতেন। তিনি তাদের প্রত্যেকের জন্য একদিন এবং একরাত নির্দিষ্ট করে দিতেন। কিন্তু সাওদা বিনতে জামআ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর স্ত্রী আয়শা(রা.)-কে তার (ভাগের) দিন এবং রাত দান করেছিলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে খুশি করার জন্য। [সূত্র: সহিহ বুখারি, আরবী: ২৫৯৩, ইংরেজি অনুবাদ: ৩।৪৭।৭৬৬, সুন্নাহ.কম: ৫১।২৭]
দিন-রাত বণ্টনের এই বিষয়টিকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এতটাই গুরুত্ব দিতেন যে অসুস্থ মৃত্যুপথযাত্রী অবস্থায়ও স্ত্রীদের অনুমতি ব্যতিত তিনি এর অন্যথা করেন নাই:
আয়শা (রা.) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসুস্থতার সময় তাঁর স্ত্রীদেরকে ডাকালেন। তাঁরা একত্রিত হলে তিনি বললেন: ‘আমি তোমাদের সকলের সাথে সাক্ষাত করতে অক্ষম। তোমরা যদি আমাকে আয়শার সাথে অবস্থান করার অনুমতি দিতে মনস্থ করো, তবে দিতে পারো।’ কাজেই তাঁরা তাকে অনুমতি দিলেন। [সূত্র: সুনান আবু দাউদ, আরবী: ১২।২১৩৭, ইংরেজি অনুবাদ: ১১।২১৩২, সুন্নাহ.কম: ১২।৯২]
কাজেই এক স্ত্রীর জন্য বরাদ্দকৃত সময়ে তিনি অন্য স্ত্রীদের সাথে সহবাস করবেন, এটা কিছুতেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।
তবে কি- যে দিন এক স্ত্রীর পালা আসতো, সেদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অন্য কোন স্ত্রীর সাথে সাক্ষাতও করতেন না? অবশ্যই করতেন, নিশ্চয়ই করতেন এবং প্রত্যেকের সাথেই সাক্ষাত করতেন। কিন্তু অন্য কোন স্ত্রীর সাথে ঐ দিনে/রাতে সহবাস করতেন না। না এটা আমার গলাবাজি নয়, আমার ব্যক্তিগত কোন ধারণাও নয়, বরং একেবারে ঘরের মানুষের মুখের কথা। শুনুন তাহলে-
হিশাম ইবনে উরওয়াহ তার পিতা হতে বর্ণনা করেন:
আয়শা (রা.) বলেন: হে আমার ভাতিজা! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)আমাদের সাথে তার অবস্থানের সময়কে ভাগ করার ব্যাপারে আমাদের কোন একজনকে অন্য জনের ওপর প্রাধান্য দিতেন না। এটা খুব কমই হতো যে কোনদিন তিনি আমাদের সাক্ষাত দেন নাই। তিনি সহবাস ব্যতিরেকে প্রত্যেক স্ত্রীর কাছে আসতেন যতক্ষণ না যার দিন ছিল তার কাছে পৌঁছতেন এবং তার সাথে রাত কাটাতেন। [It was very rare that he did not visit us any day (i.e. he visited all of us every day). He would come near each of his wives without having intercourse with her until he reached the one who had her day and passed his night with her.] [সূত্র: সুনান আবু দাউদ (হাদিসের প্রাসঙ্গিক অংশ), আরবী: ১২।২১৩৫, ইংরেজি অনুবাদ: ১১।২১৩০, সুন্নাহ.কম: ১২।৯০]
নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এঁর একেবারে ঘরের মানুষ আয়শা (রা.) এঁর এই বক্তব্যের পর, অন্য কারো বক্তব্য বা ধারণার আর কোন সুযোগ অবশিষ্ট থাকে না। কাজেই প্রতিরাতে নয় জনের সাথে সহবাস করার গল্পটা একেবারেই ভিত্তিহীন।
২য় অভিযোগ ও তার জবাব।
আমরা জানি জামাহ রাঃ বয়সক ছিলেন তার পক্ষে তার স্বামি রাসুল সাঃ এর মিলিত হওয়া সম্ভব ছিলো না তাই সে সেচ্ছায় তার জন্য বরাদ্দকৃত রাতটি আয়েশা রাঃ কে দিয়ে দিছে। এতে নাস্তিকগুলা দোষের কি দেখে তাই বোধগম্য নহে। এই নাস্তিকগুলাই আবার নারীর স্বাধিন ইচ্ছা শক্তি নিয়ে কথা বলে গলা ফাটায় অথচ এই ব্যপারে একজন নারীর স্বাধিন ইচ্ছা কে তারা অবমূল্যায়ন করে। এতে কি প্রমান হয় না এদের আসল কাজই হচ্ছে ইসলামের বিদ্দেষি। যেহেতু উপরের আলোচনায় সওদা বিনতে জামহা রাঃ এর বিষয় টা উল্লেখ আছে তাই সে হাদিসটা আর এখানে উল্লেখ করলাম না।
৩য় অভিযোগ ও তার জবাব।
অভিযোগঃ রাসুল সাঃ রাস্তা এক বেগানা নারীকে দেখে কামউদ্দিপক বা উত্তেজিত হয়ে পরে (নাউযুবিল্লাহ)। সেজন্য তিনি দ্রুত তার স্ত্রী যয়নব রাঃ এর কাছে যায় এবং সহবাস করে।
জবাবঃ আসলে নাস্তিকদের মন মানষিকতা যেমন ওদের চিন্তা ভাবনাও তেমন। আসুন আলোচনার আগে হাদিসটা দেখে নেই,
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ১৭। বিবাহ (كتاب النكاح)
হাদিস নম্বরঃ ৩২৯৮
কোন মহিলাকে দেখে কোন পুরুষের মনে যৌন কামনা জাগ্রত হলে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে গিয়ে মিলিত হয়
৩২৯৮-(৯/১৪০৩) আমর ইবনু আলী (রহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলাকে দেখলেন। তখন তিনি তার স্ত্রী যায়নাব এর নিকট আসলেন। তিনি তখন তার একটি চামড়া পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের প্রয়োজন পূরণ করলেন। অতঃপর বের হয়ে সাহাবীগণের নিকট এসে তিনি বললেনঃ স্ত্রীলোক সামনে আসে শয়ত্বানের বেশে এবং ফিরে যায় শায়ত্বানের বেশে। অতএব তোমাদের কেউ কোন স্ত্রীলোক দেখতে পেলে সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে। কারণ তা তার মনের ভেতর যা রয়েছে তা দূর করে দেয়।* (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ৩২৭৩, ইসলামীক সেন্টার ৩২৭১)
* স্ত্রীলোকের শয়তানের আকৃতিতে আসার অর্থ হল, কৃপ্রবৃত্তিকে উস্কে দেয় ও যিনার প্রতি উৎসাহিত করে এবং যিনা তথা স্ত্রী সহবাস করার আস্বাদকে স্মরণ করে দেয় যা শায়ত্বানী প্রভাব। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=50381
এবার আসুন হাদিস থেকে আমরা কি জানতে পারলাম ও শিখলাম। আমরা জানি রাসুল সাঃ একজন মানুষ তাহলে মানবিকগুনবলি তার মধ্যে থাকবে এটাই স্বাভাবিক সর্বোপরি রাসুল ছিলেন আমাদের শিক্ষক তাহলে দেখুনতো রাসুল এই ঘটনার দ্বারা আমাদের কতো সুন্দর একটা জিনিস শিক্ষা দিলেন, আমরা মানুষ বেগানা নারী দেখলে পুরুষের উত্তেজিত হবে এটাই স্বাভাবিক, চিকিৎসা বিজ্ঞানও আমাদের এই কথা বলে, নারী পুরুষকে আকর্ষিত করে, তাহলে আমাদের কি করা উচিত সেই জিনসটাই আমরা এই হাদিসটা থেকে শিক্ষা পাই যে যদি আমরা এহেন পরিস্থিতির শিকার হই তাহলে যেনো আমরা দ্রুত আমাদের বিবিদের কাছে গিয়ে নিজের উত্তেজনাকে প্রশমিত করে নেই, তানাহলে আমাদের দ্বারা ধর্ষনের মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। ধর্ষন ও ভ্যায়বিচার রোধে রাসুল সাঃ এর দেখিয়ে যাওয়া অনেকগুলো উপায়ের মধ্যে এটাও একটা উপায়।
তাহলে নাস্তিকরা কি চায় যে আমরা এইভাবে উত্তেজনা কে প্রশমিত না করে শিয়াল কুকুরের মতো নারীদের উপরে ঝাপিয়ে পরি। ও না তারা হয়তো বলবে কেনো আপনার নারী দেখলে কামভাব জাগবে তাহলে আমি বলবো ন্যাস্টিক ভায়া দ্রুত ডাঃ দেখান। (কলকাতা হরবাল)। মদ, গাজা, ইয়াবা তো আর সবাই খায় না যে সবার যৌনতা হ্রাস পাবে বা সবাই আপনাদের মতো ধজ্জবঙ্গ রোগে আক্রান্ত হবে।
সুতারং ধর্ষন ও ভ্যায়বিচার রোধে রাসুল সাঃ এর শিক্ষাই বাস্তব ও সু শিক্ষা।
৪র্থ অভিযোগ ও তার জবাবঃ বিশিষ্ট ফাউল ত্যানাবাজ তানুজা আফরোজ আরো অভিযোগ করলেন রাসুল সাঃ নাকি ঋতুবর্তী বিবির সাথে সহবাস করছে, কতটা মিথ্যাবাদী হতেপারে এই নাস্তিক গুালা এখানেই তার প্রমান নিচের হাদিসটি থেকে আমরা জানতে পারি রাসুল সাঃ ঋতুবর্তী নারীর সাথে সহবাস কে নিষিদ্ধ করছে। আর মিথ্যাবাদী তানুজা বললো রাসুল নাকি সহবাস করছে, তাহলে আসুন দেখি হাদিসটা কি বলেঃ
২১৬৬. আবদুস সালাম ইবন মুতাহহার ........... ইবন আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যদি কেউ তার স্ত্রীর সাথে হায়েযের রক্ত প্রবাহকালীন সময়ে সংগম করে তবে তাকে এক দীনার এবং রক্ত না থাকাকালীন সময়ে সংগম করে তবে অর্ধ দীনার সাদকা প্রদান করতে হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=34274
এই হাদিসটিতে স্পষ্টতোই দেখা যাচ্ছে ঋতুবর্তী নারীর সাথে সেক্স নিষিদ্ধ। আমাদের প্রিয় তানু ভাপু এসে জালিয়াতী করলো রাসুল সাঃ নাকি ঋতুবর্তী মহিলার সাথে সেক্স করতে বলছে। যে জায়গায় কোরআন ও আমাদের কে এ ব্যাপারে নিষেধ করে তাহলে তারা কি বলতে চায় রাসুল সাঃ কোরআনের বিরুদ্ধে কথা বলছেন নাউযুবিল্লাহ। এটা কি করে সম্ভব যে ব্যাক্তি প্রথম এবং প্রধান অস্ত্র হলো কোরআন সে ব্যাক্তি তার অস্ত্রকেই ফেলে দিবে। এট হাস্যকর যুক্তি ছাড়া আর কিছুই হতে পারেনা। দেখুন কোরআন কি বলে
Al-Baqarah-222আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন।وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
দেখুন এই সমন্ধে রাসুল সাঃ এর হাদিস কি বলে
হায়েয অবস্থায় স্ত্রী সহবাস যে একটি গর্হিত ও হারাম কাজ রাসূলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম) এর হাদিস থেকেও তার প্রমান পাওয়া যায়।
আমাদের প্রানপ্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) বলেছেন- “যে ব্যাক্তি হায়েয অবস্থায় সহবাস করে বা পিছনের রাস্তা দিয়ে স্ত্রীর সাথে মিলন করে কিংবা কোন গণকের কাছে গমন করে, তবে সে আমার নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করল।” [তিরমিযী]।
তাহলে আমাদের ছুপা নাস্তিক তানু দিদি কোথায় পেলো রাসুল সাঃ ঋতুবর্তী নারী বা হয়েজ অবস্থায় সহবাস করার অনুমতি দিছে। আসল কথা হলো উনারা ছুপা নাস্তিক সাজে, উনাদের কাজই হলো ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও বিরোধিতা করা।
পরিশেষে শুধু এতোটুকোই বলবো, মুহাম্মদ সাঃ সেক্স মেনিয়েক না সেক্স মেনিয়েক হচ্ছেন আপনারা নাস্তিকরা যাদের মাথায় সারা দিনরাত শুধু সেক্স আর সেক্স ঘুরে তাইতো তারা সবকিছুর মধ্যেই সেক্স খুজে পায়। আলোচনান্তে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইযে নাস্তিকতা মানেই ইসলাম বিদ্দেষি ও মিথ্যাবাদী।
পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করায় ধন্যবাদ জানাই Abdul Mabud Pabel ও Khalid Bin Kawser
বিদ্রঃ বানানে কোনো ভুল থাকলে দুঃখিত।
#Sheikh lajim
0 Comments