Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

6/recent/ticker-posts

মোহাম্মদ(সাঃ) কি কলেমা পড়ে মুসলমান হয়েছিল? জবাবঃ

#কাউন্টার_for_আজ্ঞেয়বাদী

নাস্তিকটি যে প্রশ্নটি করেছে সেটি বিশ্লেষন করলে প্রথমে দেখতে হবে কোনটি আগে এসেছে পৌত্তলিকতা নাকি ইসলাম ।।।।
আসুন দেখি :

অনেকেই মনে করে ইসলাম একটা নতুন ধর্ম-- যা এসেছে ১৪০০ বছর আগে। আর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) হচ্ছেন ধর্মের প্রবর্তক।কিন্তু এই ধারণাটা সঠিক নয়। ইসলাম এই পৃথিবীতে এসেছে সৃষ্টির জন্মলগ্ন থেকে।
যখন থেকে এই পৃথিবীতে আল্লাহ্ মানুষ তথা আদম (আঃ)-কে পাঠিয়েছেন তখন থেকেই মানুষের দৈনন্দিন জীবন পরিচালনার জন্য বিধি-বিধান, আইন-কানুন স্বরূপ ইসলামকে আল্লাহ্ দিয়েছেন।
তাই ইসলাম কোন নতুন ধর্মের নাম নয়, এমন নয় যে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এই ধর্ম তৈরি করেছেন, এর আগে ইসলাম ছিলো না, তার আগেও সকল রাসুল আল্লাহর দ্বীন নিয়ে এসেছেন । ইসলাম পৃথিবীতে এসেছে সৃষ্টির জন্মলগ্ন থেকে।
মহান আল্লাহ্ বলেন-
“আর সমস্ত মানুষ একই দ্বীনের (ইসলামের) উম্মত ছিলো, পরে পৃথক হয়ে গেছে। আর একটি কথা যদি তোমার পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে পূর্ব নির্ধারিত না হয়ে যেত; তবে তারা যে বিষয়ে বিরোধ করছে তার মীমাংসা হয়ে যেত।“
(সূরা ইউনুসঃ১৯)

আর সমস্ত মানুষ একই দ্বীনের (ইসলামের) উম্মত ছিলো, পরে পৃথক হয়ে গেছে। আর একটি কথা যদি তোমার পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে পূর্ব নির্ধারিত না হয়ে যেত; তবে তারা যে বিষয়ে বিরোধ করছে তার মীমাংসা হয়ে যেত।“
(সূরা ইউনুসঃ১৯)

এখানে আরও প্রমাণ দেওয়া পারে যে ইসলাম নতুন কোন ধর্ম নয় আর পৌত্তলিকতার কোন প্রশ্নই আসে না !!

এবার আসুন দেখি নবীর সম্পর্কে আল্লাহ্ কি বলেছেন :

বলুন, আমি তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ক কারী বৈ নই।"
সূরা আল আহক্বাফঃ৯

“তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের দ্বীনে কায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন “মুসলিম” , পূর্বেও এবং এই কোরআনেও, যাতে রসূল তোমাদের জন্যে সাক্ষ্যদাতা এবং তোমরা মানবজাতির সাক্ষ্যদাতা হও। “
( সূরা হাজ্জঃ৭৮)

মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।”[সূরা আহযাব, আয়াত: ৪০

উপরিউক্ত আয়াত গুলি থেকে বলা যায় যে পৃথিবীতে সকল নবী রাসুল গণই মুসলিম তারা কোন সাধারণ মানুষ নয় আল্লাহর পক্ষ থেকে মনোনীত বার্তাবাহক।।

●এখানে আরেকটি যুক্তি দেখানো যেতে পারে:  এটা স্পষ্টত প্রতীয়মান যে কোরআন নবী মুহাম্মদ সাঃ এর উপর নাজিল হয়েছে । আর কোরআন ও হাদিস থেকে রেফারেন্স দেওয়া যায় যেসব পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে । ইসলাম একটি #মনোথিজম ধর্ম ।

কোরানের  আয়াতে প্যাগানের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। যেমনঃ (২৩:৯১, ১৭:৪২, ২১:২২, ২৩:৭১)  লেখার আয়তন ছোট রাখার জন্য একটি মাত্র তুলে ধরলাম

●অনেকেই কাবাকে প্যাগানদের বলে মিথ্যাচার করে
কাবা কোনো প্যাগানদের উপাসনালয় ছিল না। এটা স্থাপিত হয়েছিল ইব্রাহীম আঃ - এর সময়ে। যেমটি বাইবেলে উল্লেখ আছে,

য্যাকব আঃ কাবাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আল্লাহ্‌র ঘর "
(দেখুন  জেনেসিস ২৮:১৮)  একই রকম কথা আছে,  (জেনেসিস  ৩৫:১, ১৪, ১৫ )

কালো পাথরের চারদিকে সাতবার ঘুরতো প্যাগানদের এই পৌত্তলিকতার রীতি অব্যাহত রাখার পরামর্শ আল্লাহ্‌ই দিয়েছেন  কোরানে। "

এটা সঠিক না। আল্লাহ্‌ এটা প্যাগানদের দেন নাই। এটা ইব্রাহীম আঃ এর ধর্মানুসারীদের দিয়েছিলেন। এবং কোরআন এ তার পরিসীমা বৃদ্ধি করে পুরো মানবজাতির মধ্যে দিয়েছেন। যেহেতু, এটা আল্লাহ্‌র ঘর তাই এটা প্রদক্ষিণ করা যেতেই পারে। যদি কাবাকে আমরা পূজা করতাম তাহলে দাবির একটা যৌক্তিকতা ছিল। নবীজিকে সাতবার কাবা প্রদক্ষিণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে বলতেন, ইব্রাহীম আঃ করেছে তাই তিনি করেন।

এখন প্রশ্ন হল

যাদের আল্লাহ্ নিজেই মনোনীত করে বার্তাবাহক করে পাঠিয়েছেন তাদের নতুন করে মুসলিম হওয়ার প্রয়োজন আছে ???

নবী যেখানে নিজেই সর্বশেষ রাসুল সেখানে তিনি কেন আবার নিজের নামেই কলেমা পরবেন ???

Post a Comment

0 Comments