Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

6/recent/ticker-posts

রাসুল (সঃ) কেন কম বয়সী আয়েশা রাঃ কে বিবাহ করেন

ইসলাম বিরোধীদের অপপ্রচারের অন্যতম লক্ষ আয়েশা(রাঃ)এর সাথে রাসুল(সাঃ) এর বিয়ে! অনেক মুসলমান ভাই বোন মাঝে মাঝে প্রশ্ন করেন "এটা না করলে কি পারতেন না?না করলেতো আজকে এই প্রপাগান্ডার সুযোগ ছিল না! "

এই লেখনি শুধু তাদের জন্য! বন্ধুগন, রাসুল(সাঃ) মাওলার নির্দেশ ছাড়া কিছুই করেননি!  সর্বজ্ঞ মাওলা ভবিষ্যত জানতেন বলেই এই বিয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন তার প্রিয় হাবিবকে! নিচের লেখনিতেই আপনারা বুঝবেন ইসলামের ইতিহাসে এই বিয়ের প্রভাব কত ব্যাপক ছিল!
রাসুল(সাঃ) এর প্রতিটি বিয়েই ছিল ইসলামের সার্থে!! আর ইসলামের জন্য সবচেয়ে বেশি ফলপ্রদ হয় আয়েশা(রাঃ) এর সাথে হুজুর পাক (সাঃ) এর এই বিয়ে!

হযরত আয়েশা (রা): ইসলাম প্রচারে
তাঁর ভুমিকা ও তাঁর মর্যাদাঃ
----------------------------------------------
রাসুল মুহাম্মদ (সা) এর স্ত্রীগনের মধ্যে হযরত আয়েশা
(রা) সম্ভবত সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব।তিনি একাধারে
রাসুল (সাঃ) এর স্ত্রী ও আবু-বকর (রা) এর কন্যা। রাসুলের
(সা) সাথে তাঁর মাত্র ৯ বছরে সংসার জীবন । রাসুলের
(সা) ওফাতের পর ইসলামের ইতিহাসে তাঁর রয়েছেএক
গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা।আমি ধারাবাহিক কয়েকটি পোস্টের
মাধ্যমে হযরত আয়েশা (রা) এর ইসলামে অবদান ও তাঁর
মর্যাদা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
প্রথমেই শুরু করছি হযরত আয়েশা (রা) কতৃক বর্নিত একটি
হাদীস দিয়েঃ
হযরত আয়েশা (রা) বলতেন আমি গর্বের জন্য নয় , বরং
বাস্তব কথাই বলছি। আর তা হল, আল্লাহ তায়ালা এমন
কয়েকটি বৈশিষ্ট্য দান করেছেন যা আর কাউকে দান
করেননি। ১/ ফেরেশতা রাসুলুল্লাহকে (সা) স্বপ্নের
মাধ্যমে আমাকে দেখিয়েছেন, ২/ আমার সাত বছর বয়সে
রাসুল (সা) আমাকে বিয়ে করেছেন, ৩/ নয় বছর বয়সে আমি
স্বামী গৃহে গমন করেছি, ৪/ আমিই ছিলাম রাসুল (সা) এর
একমাত্র কুমারী স্ত্রী ৫/ যখন তিনি আমার বিছানায়
থাকতেন তখন ওহী নাযীল হতো, ৬/ আমি ছিলাম রাসুল সা
এর সর্বাধিক প্রিয় স্ত্রী, ৭/ আমার নির্দোষতা ঘোষণা
করে কোরআনে আয়াত নাযীল হয়েছে ৮/ জীবরিলকে আমি
স্বচক্ষে দেখেছি, ৯/ রাসুল সা আমার কোলে মাথা রেখে
শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন, ১০/ আমি তার খলিফা ও তার
সিদ্দিকের কন্যা ১১/ রাসুলুল্লাহর (সা) জীবনের শেষ
মুহুর্তে আমার মুখের লালা তার মুখের লালার সাথে
মিলেছে, ১২/ আমার ঘরেই তাঁর কবর দেয়া হয়েছে। [সুত্রঃ
সিয়ারু আলাম আন-নুবালা ৩/১৪০-১৪১]
হযরত আয়েশা (রা) এর সীরাতের প্রতি যখন দৃষ্টি নিবদ্ধ
করা হয় তখন কেবল সকল মহিলা সাহাবা নয় বরং অনেক বড়
বড় পুরুষ সাহাবিদের তুলনায় তাঁর যে অনন্য বৈশিষ্ট্য
লক্ষ্য করা যায় তা হলঃ
১/ দ্বীনের তাৎপর্য বিষয়ে গভীর জ্ঞান।
২/ ইজতিহাদির ক্ষমতা ও শক্তি
৩/ আলোচনা ও পর্যালোচনার রীতি-পদ্ধতি
৪/ গভীর অন্তর্দৃষ্ট
৫/ প্রয়োজনীয় মতামত প্রকাশের ক্ষমতা
হযরত আয়েশা (রা) সম্পর্কে কয়েকজন প্রতিথযশা সাহাবা
একরাম, তাবে-তাবেঈন ও মুসলিম স্কলারের কিছু মন্তব্য
লক্ষ্য করা যাক–
হযরত মুসা আশ’আরী (রা) বলেন–
আমরা মুহাম্মদ (সা) এর সাহাবীরা কক্ষণো এমন কোন কঠিন
সমস্যার মুখোমুখি হইনি, যে বিষয়ে আমরা আয়েশা (রা) এর
নিকট যানতে চেয়েছি এবং সে সম্পর্কে কোন জ্ঞান আমরা
তাঁর কাছে পাইনি।
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফের (রা)
সুযোগ্য পুত্র আবু সালামা যিনি একজন অতি উচ্চ স্তরের
তাবেঈ ছিলেন, বলেন–
— রাসুলুল্লাহ (সা:) এর সুন্নাতের জ্ঞান , প্রয়োজনে কোন
ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দান, আয়াতের শানে নুযুল ও ফরজ বিষয়
সমুহে আমি আয়েশা (রা) অপেক্ষা অধিকতর পারদর্শি ও
সুচিন্তিত মাতামতের অধিকারী আর কাউকে দেখিনি।
হযরত উরউয়া ইবনে যুবায়ের (রাঃ) বলেন –
আমি হালাল হারাম জ্ঞান , কবিত্ব, চিকিৎসা বিদ্যায়
উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রা) অপেক্ষা অধিক পারদর্শি
কাউকে দেখিনি।
প্রখ্যাত তাবেঈ হযরত মাসরুখ (রঃ) যিনি হযরত আয়েশা
(রাঃ) এর তথ্যাবধানে লালিত পালিত হন, একবার তাকে
প্রশ্ন করা হল ঃ উম্মুল মু’মেনিন আয়েশা (রা)কি ফারায়েজ
শাস্ত্র জানতেন? তিনি জবাব দিলেন—
সেই সত্তার কসম যার হাতে আমার জীবন , আমি বড় বড়
সাহাবীদেরকে তাঁর নিকট ফারায়েজ বিষয়ে প্রশ্ন করতে
দেখেছি।
আল্লামা জাহাবী বলেন—
তিনি ছিলেন বিশাল জ্ঞান ভান্ডার। উম্মতে মুহাম্মদীর
মধ্যে , সার্বিকভাবে মহিলাদের মধ্যে তাঁর মত বড় জ্ঞানী
ব্যাক্তি নেই।
ইলম ও ইজতিহাদ বা জ্ঞানে আযরত আয়েশা (রা) কেবল
মহিলাদের মধ্যেই নন, বরং পুরুষদের মধ্যে বিশেষ স্থান
অধিকার করতে সক্ষম হন। কুরআন , সুন্নাহ, ফিকাহ, আহকাম
বিষয়ক জ্ঞানে তার স্থান ও মর্যাদা এত উর্ধে যে- উমর
(রা) , আলী (রা), আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রা), আব্দুল্লাহ
ইবনে আব্বাস (রা) প্রমুখের সাথে তাঁর নামটি নির্দ্বিধায়
উচ্চারন করা যায়।
তাফসিরে জালালাইন কিতাবে প্রখ্যাত মুফাস্সির
কিরামের যে তালিকা দেয়া হয়েছে, তাতে হযরত আয়েশা
(রা) কে তাফসির কারকদের মধ্যে প্রথম থকে তৃ্তীয় স্থানে
রাখা হয়েছে।
হাদীস বর্ননাতেও হযরত আয়েশা (রা) নিঃসন্দেহে অন্যতম
প্রধান বর্ননাকারীদের অন্যতম। যে সকল সাহাবীর বর্নিত
হদীসের সংখ্যা এক হাজারের উর্ধে তাঁরা হলেন মাত্র ৭
জন। নিম্নে তাঁদের নাম ও বর্নিত হাদীসের সংখ্যা উল্লেখ
করা হল—
১/ হযরত আবু হুরাইরা (রা) ——————————– ৫৩৬৪
২/ হযরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) ——————২৬৬০
৩/ হযরত আবদুল্লাহ ইবন ঊমার (রা) ——————–২৬৩০
৪/ হযরত যাবির ইবন আবদিল্লাহ (রা) ——————–২৫৪০
৫/ হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) ———————–২৬৮৬
৬/ হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা) —————————–২২১০
৭/ হযরত আবু সাইদ আল খুদরী (রা) ———————২২৭০
উপরে উল্লেখিত নামের পাশের সংখ্যা অনুযায়ী হাদীস
বর্ননাকারী হিসেবে হযরত আয়েশা (রা) এর স্থান সপ্তম।
অনেকের মতে হযরত আবু হুরাইরা (রা) ও হযরত আবদুল্লাহ
ইবন আব্বাস (রা) ছাড়া আর কেউ হযরত আয়েশা (রা) চেয়ে
বেশী হাদীস বর্ননা করেননি। তাঁদের মতে অধিক হাদীস
বর্ননাকারী হিসেবে হযরত আয়েশা (রা)এর স্থান তৃ্তীয়।
হযরত আয়েশা (রা) বর্নিত হাদীস সমুহের মধ্যে সহীহ
বুখারী ও মুসলিম শরীফে ২৮৬ টি হাদীস সংকলিত হয়েছে।
১৭৪ তি মুত্তালাক আলাইহি, ৫৪ টি শুধু বুখারীতে এবং ৬৯
টি মুসলিমে এককভাবে বর্নিত হয়েছে। এছাড়া হযরত
আয়েশা (রা) এর অন্য হাদীসগুলি বিভিন্ন গ্রন্থে সনদ
সহকারে বর্নিত হয়েছে।
উপরের সংক্ষিপ্ত আলোচনা থেকে এতটুকু প্রতীয়মান হয় যে
নবী মুহাম্মদ (সাঃ ) এর স্ত্রী হযরত আয়েশা (রা)
ইসলামের ইতিহাসের একজন গুরুত্বপুর্ন ব্যক্তিত্ব যার কাছ
থেকে পবিত্র কুরআনের তাফসীর, হাদীস বর্ননা ও ইসলামী
শরীয়তের অনেক জরুরী বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গৃহীত
হয়েছে। তিনি শুধু নবী (সা) এর স্ত্রী হিসেবে নয় বরং
একজন তাফসীরকারক, একজন রাবী, একজন ফকীহ ও মুজতাহিদ
হিসেবে মুসলিম উম্মার কাছে চিরকাল শ্রদ্ধার আসনে
অধিষ্টিত থাকবেন।
======================
দু-জাহান তারকা হযরত আয়েশা (রাঃ)
=================
এই প্রিয়তমা মহিয়সী উম্মুল মু,মিনীন হযরত আয়েশা
(রাঃ),র স্থান কুল নারী জগতের সবার ঊর্দ্ধে। তাহার সুদুর
প্রসারী শিক্ষা-দীক্ষা, ধর্ম-কর্ম, জ্ঞান-বুদ্ধি, স্বভাব-
চরিত্র, ত্যাগ-তিতিক্ষা, সাধনা-প্রতিভায় তিনি যে
উচ্চাসনে অধিষ্ঠিতা তাহা একদিকে যেমন মহিলাকুলের
মহা-মর্যাদা ও গর্বের কথা অন্যদিকে তেমনি তাহাদের
সাধনা ও প্রেরণার উৎস বঠে। তাহার তুলনা শুধু তিনি
নিজেই। মিল্লাতে মুসলিমের সম্মানিত শিক্ষিকা হযরতে
আয়েশার সমুদ্রসম জীবন কাহিনী সীমিত আকারে লিখা
কঠিন ও দুরুহ। তারপরে ও শুধুমাত্র সময়ের দাবীর কারনে এই প্রচেষ্টা!

আশাকরি ঈমানদার ভাই বোনেরা বুঝতে পেরেছেন রাসুলে পাক (সাঃ) কেন এই বিয়ে করেছিলেন এবং মাওলা কেন এই বিয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন! সর্বজ্ঞ মাওলা ভবিষ্যত জানতেন বলেই তার প্রিয় হাবিবকে এই বিয়ের নির্দেশ দেন যার ফলে এ বিয়ের সিদ্ধান্ত ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে ফলপ্রদ বিয়ে বলে বিবেচিত!!


কম বয়স্ক, আয়েশাকে ( রাঃ ) বিয়ের কারন কি??


রাসূল সাঃ এর ব্যাপারে যে ভুলটি সকলেই করে তা হলো উনাকে মাত্র একটি যুগের মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে চায়!  সকলেই শুধু আধুনিক যুগের দাড়ি পাল্লায় উনাকে মাপতে চায় ৷ প্রকৃতপক্ষে রাসূল (সাঃ) অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জন্য এক অতি উত্তম আদর্শ ৷ সকল যুগের হাজার হাজার কোটি মানুষের সমস্যার সমাধান উনাকে দিতে হয়েছে ৷

মূলত, মাত্র একটি যুগের দাড়িপাল্লায় মাপতে যেয়েই আয়েশা (রাঃ)এর সাথে বিয়ে নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয় ৷

এখন অনেক দেশে গড় আয়ু প্রায় 70 বছর ৷ কিন্তু 1200 বছর পূর্বে এমন অনেক দেশ ছিল যেখানে গড় আয়ু 40/50 ও ছিলনা! এমনকি 1400 বছর পূর্বে আরবের গড় আয়ু ছিল মাত্র 35+  তখন কোন বয়সে বিয়ে করত তারা? 16/17/18/ কোন বয়সে? 18 বছর বয়সে বিয়ে করলে সন্তান জন্ম দেবে কখন আর মানুষ করবে কখন? এই বিষয়টি কি ভেবে দেখেছেন?70 বছর গড় আয়ু যখন তখন ও অনেক দেশে বিয়ের বৈধ বয়স মাত্র 12/13 বছর ৷ এমনকি মাত্র 200বছর পূর্বেও অনেক উন্নত দেশেই সর্বনিম্ন বয়স সীমা 7/8 ছিল! তাহলে 1400 বছর পূর্বে 9 বছরে বিয়ে অবৈধ কেন হবে??


https://en.m.wikipedia.org/wiki/Life_expectancy

(বর্তমানে ইউরোপ আমেরিকার অনেক দেশে 12/14/15/16 বছর বয়সে বিয়ে বৈধ) 

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Marriageable_age


(পূর্বের  বিভিন্ন দেশে বিয়ের বয়স )

https://discover-the-truth.com/2013/09/09/age-of-consent-in-european-american-history/


(পূর্বের গড় আয়ু) 

http://www.sarahwoodbury.com/life-expectancy-in-the-middle-ages/


মূল কথায় আসি, 

ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান ৷ বিয়ের বয়স কত থেকে শুরু হয়, একমাত্র আয়েশা (রাঃ )এর বিয়ের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হতে পারি ৷ যদি এই বিয়ে না হত,তবে বিগত 1400 বছর মুসলমানরা জানতেই পারতনা বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স সীমা!  তখন নাস্তিকরা বলত" ইসলামে বিয়ের  সময়  কত বছর বয়স  হতে শুরু হয় তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি ৷ অতএব ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান নয়! "


কোরআনের আয়াতের ব্যাপক ভুল এবং অপব্যাখ্যা দিয়ে 12 টা বাজিয়ে ছাড়ত!!!!


কোরআনে বলা হয়েছে


 

  وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ مِن نِّسَائِكُمْ إِنِ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ وَاللَّائِي لَمْ يَحِضْنَ وَأُوْلَاتُ الْأَحْمَالِ أَجَلُهُنَّ أَن يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مِنْ أَمْرِهِ يُسْرًا   (4

তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের ঋতুবর্তী হওয়ার আশা নেই, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাদের ইদ্দত হবে তিন মাস। আর যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি, তাদেরও অনুরূপ ইদ্দতকাল হবে। গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তানপ্রসব পর্যন্ত। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন।


এখন মাসিক শুরু হবার পূর্বে বলতে কত বছর বয়সে বিয়ে বৈধ??? অনেকেরই 16 বছর বয়সেও মাসিক হয়না রোগের কারনে!!! যেহেতু  নির্দিষ্ট বয়স উল্লেখ নেই ৷ ফলে ব্যাপক ভাবে বিতর্ক সৃষ্টি হত ৷

কিন্তু আয়েশা রাঃ এর বিয়ের কারনে আমরা নূন্যতম বয়স সীমা জানতে পেরেছি ৷আমরা জানতে পেরেছি যেকোন বয়সে বিয়ে বৈধ তবে যতদিন পর্যন্ত স্ত্রী শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সংসার করার মত যোগ্যতা অর্জন করবেনা ততদিন পর্যন্ত স্বামীর সংসারে যেতে পারবে না ৷ সবচেয়ে ভাল হয়  মাসিকের পূর্বে স্বামীর সংসার না করা ৷এ কারনেই রাসূল সাঃ বিয়ের পর তিন বছর অপেক্ষা করেন সংসার শুরু করার জন্য ৷ মনে রাখবেন, অনেক নারীদের দ্রুত শারীরিক বিকাশ হয় এবং অনেকেরই দেরীতে হয় ৷ সকলেরই এক বয়সে শারীরিক বিকাশ পরিপূর্ণ হয় না ৷ 

https://islamqa.info/en/22442

প্রশ্ন আসতে পারে, কেন বয়স নির্দিষ্ট করা হয়নাই??? কারন পৃথিবীর সকল স্থানে মেয়েদের মাসিক বা maturity একই বয়সে হয়না ৷উষ্ণ অঞ্চলে তাড়াতাড়ি এবং শীত প্রধান অঞ্চলে maturity  দেরিতে আসে ৷ ফলে যদি একটি বয়স নির্ধারন করা হত তবে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হত!


(বিঃদ্রঃ আয়েশা রাঃ নিজে বা উনার মা, বাবা কখনও এই বিয়ে নিয়ে   প্রশ্ন উত্থাপন করেননি ৷)#মামুন

Post a Comment

0 Comments